• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ভারতে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৩, ১২:২৪ পিএম
ভারতে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ‘বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট’ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় বুধবার (২৬ এপ্রিল)। এ ফলাফল প্রকাশের দুইদিনের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আরও দুইজন।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বুধবার ফলাফল প্রকাশের পর দুইদিনের মধ্যে রাজ্যে ১০ জনের মতো ইন্টারমেডিয়েট শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জগন্নাথম ভানি (১৭) এক বিষয়ে ফেল করায় বিজয়ওয়াড়াত হোস্টেলের নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফেল করায় সহপাঠীদের সামনে কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকরা তাকে তিরস্কার করার পর তিনি চরম অপমানিতবোধ করে এমন পদক্ষেপ নেন।

পেনামালুরু পুলিশ জানিয়েছে, গুন্টুর জেলার ফিরাঙ্গিপুরমের বাসিন্দা ভানি একটি বেসরকারি আবাসিক কলেজে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভানির বাবা-মা এবং ভাই তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। এ সময় তারা খারাপ ফলাফলের জন্য তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, পরবর্তী পরীক্ষায় ফলাফল ভালো হবে।

হতাশাগ্রস্ত ভানি শুক্রবার তার হোস্টেল কক্ষে ফিরে যায় এবং তার রুমমেটরা ক্লাসে চলে যাওয়ার পরে সে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। হোস্টেলের কর্মীরা ভানিকে ঝুলতে দেখেন ম্যানেজমেন্টকে খবর দেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে পৃথক ঘটনায়, শ্রীকাকুলাম জেলার ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী তরুণ চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তুরুণ ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের অধিকাংশ বিষয়েই পাস করতে পারেনি।

বিভিন্ন ঘটনায়, অখিলাশ্রী (১৭), বি জগদীশ (১৮), তুলাসো থারুন (১৭) ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। চিত্তুর জেলার ১৭ বছর বয়সী আরও দুই ছাত্র পরীক্ষায় ফেল করার পরে আত্মহত্যা করেছে। একজন নারী শিক্ষার্থী লেকে ঝাঁপ দিয়ে এবং অপর একজন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। অনন্তপুর জেলার হানাকানাহালে মহেশ (১৭), নন্দীগামার শাইক জান সাইদা (১৬) এবং এনটিআর জেলার এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করার পরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচাদ শিক্ষার্থীদের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের মতোই শোকাহত। তিনি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কোথায় ভুল করছে যার কারণে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে তিনি চিন্তিত।

এ বছর ‘বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট’ পরীক্ষার প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রথম বর্ষে পাসের হার ছিল ৬১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বর্ষে পাসের হার ছিল ৭২ শতাংশ।

Link copied!