পেরুতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার ল্যামডা ধরন নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার অন্য ধরনের চাইতে এটি বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা অপেক্ষাকৃত কম।
জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে টিকা নেওয়ার পরও মানব দেহে এই ভাইরাস টিকে থাকতে ও সংক্রমণে ঘটাতে পারে। একে ‘অত্যন্ত সংক্রামক’ ও ‘ভ্যাকসিন প্রতিরোধী’ বলে উল্লেখ করেন গবেষকরা।
গবেষণায় ল্যামডার স্পাইক প্রোটিনের তিনটি পরিবর্তন পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, টিকা নেওয়ার পর দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও এগুলো টিকে থাকতে পারে। ফলে টিকা নেওয়া ব্যক্তি ল্যামডা করোনার সংক্রমণ থেকে রেহাই পান না।
রয়টার্স জানায়, গবেষণাপত্রে গবেষকরা ল্যাম্বডা ধরনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাঘোষিত ‘ভেরিয়েন্ট অফ ইন্টারসেন্ট’ বা উদ্বেগজনক ধরন বলে চিহ্নিত করেছেন। এই ধরনটি বড় হুমকি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
পেরুতে প্রথমবার ২০২০ সালে করোনার এই ধরন শনাক্ত হয়। গত কয়েক মাসে এটি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে।
দক্ষিণ অ্যামেরিকা এই ভাইরাস উত্তর আমেরিকাতেও সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। এ পর্যন্ত ২৯টি দেশে ল্যামডা করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।