• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

হজমশক্তি ভালো রাখতে যা করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২১, ০১:০৭ পিএম
হজমশক্তি ভালো রাখতে যা করবেন

সুস্বাস্থ্যের জন্য হজমশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি বাধাগ্রস্ত হলে বা কোন ধরণের সমস্যা দেখা দিলে পুরো দেহই স্থবির হয়ে পড়তে পারে। হজমের সমস্যায় ভুগতে শুরু করলে সুস্থ হয়ে ওঠা মুশকিল। কারণ খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলেই হজমে গোলমাল বাঁধতে পারে। হজমশক্তি বাধাগ্রস্ত হলে ওজন বেড়ে যাওয়া, লিপিড প্রোফাইল বেড়ে যাওয়া, ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়া, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সেক্ষেত্রে ব্যক্তিভেদে খাবারের প্রতি সহনশীলতা পর্যবেক্ষণ করে তারপর কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজতর করে। একটু সচেতন হলেই হজমের সমস্যা এড়ানো সম্ভব-

সময়মতো সঠিক খাবার

আপনি কি অফিসে গিয়ে কাজ করেন নাকি বাসায়ই থাকেন বেশিরভাগ সময়? কোথায় বেশি সময় কাটছে তার ওপর নির্ভর করবে আপনার খাবারের ধরন। স্বাভাবিক ডায়েট বজায় রাখতে পারলেই সবচেয়ে ভালো। সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত চেষ্টা করুন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার। আপনি যদি বেশিরভাগ সময় বসে থাকেন তবে শারীরিক গতি কমে যাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা হতে পারে। আবার অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে অ্যাসিডিটি।

একান্তই মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে করলে সেজন্য নির্দিষ্ট একটি সময় রাখুন। প্রতিদিন একই সময়ে সেসব খাবার খান। তবে ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুড খাবেন না। বাড়িতে মুড়ি মাখা বা ছোলা মাখা খেতে পারেন। চিড়া, সবজি রোল, ফল ইত্যাদি খেতে পারেন। প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। খাবারের সময় আপনার ওজন ও উচ্চতার বিষয়টিও মাথায় রাখবেন।

পর্যাপ্ত পানি

সুস্থ থাকলে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতেই হবে, এর বিকল্প নেই। সারাদিন পান করতে হবে প্রচুর পানি। পর্যাপ্ত পানি পান করলে তা সঠিক হজমে সাহায্য করবে। পানি কম খেলে তা অ্যাসিডিটি

বাড়িয়ে দিতে পারে। পানি পান করলে তা শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে। খাবার ঠিকভাবে হজম হয়। দূরে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। হজমে সমস্যা না থাকলে আপনার থেকে দূরে থাকবে অনেক অসুখই।

শরীরচর্চা করুন

শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, সুস্থ থাকার জন্য শরীরচর্চা করা জরুরি। শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এতে সক্রিয় থাকবে শরীরের প্রতিটি পেশী। রক্ত সঞ্চালন হবে ঠিকভাবে। বাড়বে পেশীর জোর। প্রতিদিন শরীরচর্চার জন্য অন্তত আধা ঘণ্টা সময় রাখুন। নির্দিষ্ট সময় মেনে শরীরচর্চা করুন। সাইকেল চালানো এবং হাঁটাও ভালো ব্যায়াম। এতে শরীর ভালো থাকে এবং হজম ভালো হয়।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম

শারীরিক বিভিন্ন ক্রিয়া কতটা ভালভাবে কাজ করবে তা অনেকটাই নির্ভর করে যে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের সরবরাহ আছে কিনা তার ওপর। আর হজম বা শোষণ প্রক্রিয়ার জন্যও অক্সিজেনের বিকল্প নেই। সে কারণেই শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করাটা অত্যন্ত জরুরি। নাক দিয়ে লম্বা করে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে লম্বা করে শ্বাস ছাড়লে দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে। যাতে হজম প্রক্রিয়াও সহজ হয়।

পর্যাপ্ত ঘুম

ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকে সব ধরনের গ্যাজেট বা ইলেক্ট্রিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন। তবে চাইলে হালকা ভলিউমে গান শুনতে পারেন। বই পড়তে পারেন। যারা ধর্মগ্রন্থ পড়তে পছন্দ করেন, তারা ধর্মগ্রন্থ পড়তে পারেন। তবে সেলফোনে স্ক্রলিং বন্ধ করুন। চেষ্টা করবেন ঘুম যাতে পূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখার। ঘুম কম হলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে থাকে। তাই হজমশক্তি ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা ঘুম আপনার জন্য যথেষ্ট।

Link copied!