ছোট-বড় সবারই অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। পেট বেশি সময় খালি থাকলে কিংবা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে অ্যাসিডিটি বাড়ে। আবার নির্দিষ্ট কিছু খাবার রয়েছে যা অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। অ্যাসিডিটির ব্যথা সাময়িক হলেও তা দীর্ঘদিন ভোগায়। কিছু খাবার খেলেই অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয় এবং মেডিসিন গ্রহণ না করা পর্যন্ত অস্বস্তিবোধ হয়। হজম ক্ষমতা অনুযায়ী একেক জনের একেক খাবারে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। তাই কয়েকটি খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব খাবারে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে_
রুটি
অনেকের রুটি খেলে পেটে অ্যাসিডিটি হতে পারে। পেট ফাঁপতে পারে। গরম গরম রুটি খেলেই অনেকের এই সমস্যা হয়। রুটি ভাজার কিছুক্ষণ পর খেলে অ্যাসিডিটি হয় না।
কাঁচা পেঁয়াজ
সালাদে কাঁচা পেঁয়াজের ব্যবহার হয়। অনেকে খাবারের সঙ্গেও কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এতে পেটে অ্যাসিডিটি হতে পারে। কারণ কাঁচা পেঁয়াজ সবার হজম হয় না। তাই রান্না করা পেঁয়াজই খান।
চিনি
চিনি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ এটা সবসময়ই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। অতিরিক্ত চিনি খেলে পরিপাক তন্ত্রে সমস্যা হয়। যা থেকে পেটে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
সবজি
সবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে কিছু সবজি থেকে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। যেমন বাধাকপি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম, ব্রক্কলি, গাজর কাঁচা খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। এসব সবজিতে পেট ফেঁপে উঠতে পারে। যেকোনো সবজি তাই ভালোভাবে সিদ্ধ বা রান্না করে খাবেন।
ক্রিম কেক
ক্রিম কেক থেকেও পেটে অ্যাসিডিটি হতে পারে। ক্রিম বিভিন্ন উপাদান দিয়ে বানানো হয়। যা থেকে হজমে সমস্যা হতে পারে। সাধারণ কেকে এমনটা কমই হয়।
কোমল পানীয়
পেটের অ্যাসিডিটি কমাতে কোমল পানীয় পান করেন অনেকে। কিন্তু এই কোমল পানীয়ই অ্যাসিডিটির কারণ হয়। পেটে ফুলিয়ে দেয়। কারণ এতে অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ থাকে। যা থেকে পেটে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়।
চুইংগাম চিবানো
চুইংগাম চিবানোর অভ্যাস থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হবেই। চুইংগাম চিবোনোর সময় পেটে বাতাস ঢুকে পড়ে। এতে পেট ফেঁপে যায়। যা থেকে অ্যাসিডিটি হয়।
কফি
‘ক্যাফেইন’ পানে পেটে অস্বস্তি হয়। নাস্তায় ফল খেয়ে এরপর কফি পান করলে চরম অ্যাসিডিটি হয়। পেটে ব্যথা হতে পারে।
ফাস্টফুড
পাউরুটি দিয়ে বানানো ফাস্টফুড খাবের অ্যাসিডিটি বাড়ে। তাছাড়া পাস্তা খেলেও অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়।