শিশুর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়। তাই তার ত্বকের রাখা উচিৎ বিশেষ খেয়াল। বর্তমানে প্রতিটি পরিবারে শিশুর সুরক্ষার জন্য ডায়পারের ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রায়শই বাড়ির সব থেকে ছোট্ট সদস্য বা সদস্যাকে অধিক সময় ধরে ডায়পার পড়িয়ে রাখা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ডায়পার পড়িয়ে রাখার ফলে প্রস্রাব এবং মলের সংস্পর্শে থাকে শিশুটির কচি ত্বক। যার ফলে সংশ্লিষ্ট স্থানে ঘা হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
তাছাড়া ডায়পারে ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের সুগন্ধি ও রাসায়নিক উপাদান। অনেক শিশুরই এই রাসায়নিক উপাদানের কারণে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। ফলে ত্বক লাল হয়ে ফুলে যায়। পাশাপাশি ফুসকুরির মতো আকারও ধারণ করে। এবং পরবর্তীকালে ত্বকের উপর দাগের স্ষ্টি হয়।
আজকের আয়োজনে আমরা জেনে নেবো কীভাবে মুক্তি পাওয়া পাবে এই সমস্যা থেকে-
- কিছু সময় পর-পর ডায়পার চেঞ্জ করুন।
- ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত হাইজিন মেনে চলা জরুরি।
- প্রয়োজন না পড়লে শিশুকে ডায়পার ছাড়াই রাখুন। এই ডায়পার ফ্রি সময় র্যাশের সম্ভাবনাকে অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।
- আপনার শিশুর ডায়পারের দ্বারা ঢাকা জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। তবে কখনওই ঘষে পরিষ্কার করবেন না। কারণ এর ফলে ত্বক আরও বেশি জ্বালা করবে। পরিষ্কারের পর ত্বককে খোলা হাওয়ায় থাকতে দিন।
- নন-ইরিটেন্ট ক্লিনজিং সাবান ও পানি দিয়ে আপনার শিশুর ডায়পারের দ্বারা ঢাকা জায়গা ভালো করে ধুয়ে নিন।
- শিশুদের ডায়পার র্যাশের সমস্যা দেখা গেলে সে স্থানটিকে সুগন্ধী বিহীন সাবান ও পানি দিয়ে ধোয়া উচিত। একটি তুলো দিয়ে এক স্ট্রোকে প্রভাবিত অংশ পরিষ্কার করুন। প্রতিবার পরিষ্কার করার জন্য নতুন তুলোর বল ব্যবহার করতে হবে।
- ডায়াপার বদলানোর সময় শিশুর নিম্নদেশ ভেজা কাপড়, বেবি ওয়াইপস দিয়ে খুব যত্ন করে পরিষ্কার করতে হবে। সামনে থেকে পেছন দিকে মোছাতে হয়। অন্যথায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে, যা থেকে ইউরিনারি ইনফেকশন হয়।
- হাঁটু এবং নিতম্বের ভাঁজগুলোও পরিষ্কার করে দিতে হবে। মোছানো শেষে শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে দিন। এরপর পুনরায় ডায়াপার পরানোর আগে ডায়াপার অয়েন্টমেন্ট অথবা ময়েশ্চারাইজিং বেবি লোশন ব্যবহার করতে পারেন।