• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

টাইফয়েড যেভাবে ছড়ায়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম
টাইফয়েড যেভাবে ছড়ায়

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে টাইফয়েড হয়, যা সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে ঘটে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য অনুসারে, সালমোনেলা ফুড পয়জনিং সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া। এটি প্রবেশের পর পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। 

টাইফয়েডের জীবাণু শরীরে ঢুকলে গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে টাইফয়েড গুরুতর সংক্রমণ ও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। টাইফয়েড জ্বর একজন থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে সহজেই। 

যদি সংক্রমিত ব্যক্তি মলত্যাগের পর সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার না করেন ও বিভিন্ন স্থান স্পর্শ করেন তাহলে তার থেকে ওই ব্যাকটেরিয়া খাবারসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়াতে পারে। শুধু মল নয় সংক্রমিত ব্যক্তির প্রস্রাবের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে টাইফয়েড। এ কারণে প্রস্রাব-পায়খানার পর ভালো করে সাবান পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করা উচিত সবারই।

টাইফয়েড জ্বর যেভাবে ছড়াতে পারে 

  • পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার পর হাত পরিষ্কার না করেই মুখ স্পর্শ করা
  • দূষিত পানির উৎস থেকে সামুদ্রিক খাবার খাওয়া
  • মানুষের বর্জ্য দিয়ে নিষিক্ত করা কাঁচা শাকসবজি খাওয়া
  • দূষিত দুধের পণ্য গ্রহণ করা
  • সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার বাহক এমন ব্যক্তির সঙ্গে সহবাস করা ইত্যাদি।

টাইফয়েডের লক্ষণ

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর বেশির ভাগই ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে। এই রোগের সংস্পর্শে আসার ১-৩ সপ্তাহ পরে প্রকাশ পায় লক্ষণসমূহ। যদি টাইফয়েডের সঠিক চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে লক্ষণগুলো গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। টাইফয়েডের প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো-

  • জ্বর ধীরে ধীরে বাড়ে
  • মাথাব্যথা
  • দুর্বলতা ও ক্লান্তি
  • পেশি ব্যথা
  • ঘাম
  • শুষ্ক কাশি
  • ক্ষুধা ও ওজন কমে যাওয়া
  • পেটব্যথা
  • ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য
  • ফুসকুঁড়ি
  • পেটে ফোলাভাব ইত্যাদি।

 

প্রতিরোধে করণীয়

টাইফয়েড প্রতিরোধ করতে চাইলে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে আপনাকে। প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে আপনার নিরাপদ খাবার পানি। এরপর ঘন ঘন আপনার হাত ধোয়া, কাঁচা ফল ও সবজি ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া, দূষিত স্থান থেকে দূরে থাকা ও বাসস্থানের চারপাশে জীবাণুমুক্ত রাখা।

Link copied!