ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোরের দিকে ঠান্ডা বাতাসের ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময় প্রাপ্তবয়স্কদের তো বটেই, শিশুদের ওপরও ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। তাই এই সময় অনেক শিশুই জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। তাই এখন থেকেই শিশুদের শারীরিক যত্নে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নিই এই আবহাওয়ায় শিশুদের সুস্থ রাখতে কী করবেন।
- সন্ধ্যায় বা রাতে বাইরে থাকার পরিকল্পনা থাকলে শিশুর গরম পোশাক সঙ্গে রাখুন। স্কার্ফও রাখতে পারেন। সন্ধ্যায় সামান্য ঠান্ডা লাগলে তাকে গরম পোশাক পরিয়ে রাখুন। মাথায় স্কার্ফ জড়িয়ে রাখতে পারেন।
- মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। যেহেতু এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে। তাই দূষণের মাত্রাও বাড়ে। এতে শরীর খারাপের আশঙ্কাও তৈরি হয়। শিশুকে সুরক্ষিত রাখার জন্য মাস্ক পরাতে পারেন। নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। খাওয়ার আগে হাত সাবান দিয়ে ধুতে ভুলবেন না।
- অনেক শিশুরই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকে। তাদের এই সময়ে খুব সাবধানে রাখুন। শ্বাসকষ্ট যাতে না বাড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। তাকে আগলে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এ সময়ে অনেক চিকিৎসক শিশুদের ভ্যাকসিন বা বিশেষ ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। আপনার শিশুকেও এমন কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন দিতে হবে কি না, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে পারেন। এতে শিশু সুস্থ থাকবে।
- যাদের অটোইমিউন ডিজিজ রয়েছে, তাদেরও এই সময়ে অতিরিক্ত সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং শিশুকে সুরক্ষিত রাখুন। এই সময় থেকেই নিয়ম মেনে চললে সম্পূর্ণ শীতকালে তাকে সাবধানে রাখতে পারবেন।