• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০, ১৮ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় যেসব খাবার


ঝুমকি বসু
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২, ০৫:৩৬ পিএম
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় যেসব খাবার

বয়সে ভারে মস্তিষ্কের ক্ষয় হবেই, তাতে পরিবর্তন আসবে বিষয়টা অস্বাভাবিক নয়। তবে এমন কিছু করার আছে যা মস্তিষ্কের এই বয়সভিত্তিক পরিবর্তন রুখতে পারে। পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্ষয়জনীত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমবে। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না জানাচ্ছেন এ বিষয়ে বিস্তারিত।

মাছ

সার্ডিন, টুনা, স্যামন ইত্যাদি মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-১২। এ জাতীয় মাছ খেলে ভালো থাকে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর স্বাস্থ্য। এসব মাছে কেবল ভিটামিন-১২ ই থাকে না, সেইসঙ্গে থাকে অন্যসব পুষ্টি উপাদানও। প্রোটিন থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ এবং বি-৩ সবই রয়েছে এসব সামুদ্রিক মাছে।

ডিম

একটি সেদ্ধ ডিমে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি-১২ থাকে। পুরো ডিম খাওয়া দরকারি হলেও ভিটামিন বি-১২ এর বেশিরভাগ থাকে ডিমের কুসুমে। এছাড়াও প্রোটিন ও ভিটামিন বি এর ভালো উৎস হলো ডিম। বিশেষ করে এতে ভিটামিন বি২ ও বি১২ বেশি থাকে। যে কারণে আমাদের প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখা জরুরি।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

দুধ জাতীয় খাবার যেমন দুধ, দই এবং চিজ ভিটামিন বি-১২ এর দুর্দান্ত উৎস। এতে আরও আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ডি, জিংক ও পটাশিয়াম থাকে। আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য এগুলো খুবই জরুরি উপাদান। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এ ধরনের খাবার যুক্ত করুন। দুধ বা এ জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে কোনো ধরনের অস্বস্তি বা সমস্যা বোধ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শাক-সবজি

আপনি যদি শাক-সবজি খেতে বেশি পছন্দ করেন তবে সেই তালিকায় পালং শাক, বিটরুট, মাশরুম এবং আলু রাখুন। কারণ এ ধরনের শাক-সবজিতে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি-১২। তবে কেবল শাক-সবজি থেকেই এই ভিটামিন সবটুকু পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।

ফ্যাট ছাড়া মাংস

বেশিরভাগ ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায় প্রাণিজ উপাদান থেকে। ফ্যাট ছাড়া মাংস, যেমন : বিভিন্ন সি-ফুড, ভেড়ার মাংস, মুরগির মাংস খেতে পারেন। এ ধরনের মাংস খেলে তা ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি দূর করে, সেইসঙ্গে প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, নিয়াসিন, জিংক ও আয়রনও পাওয়া যায় পর্যাপ্ত। এ ধরনের খাবার কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। সেইসঙ্গে শক্তি বাড়াতেও কাজ করে।

Link copied!