নারী ও শোবিজ অঙ্গনে দিনের পর দিন ছবি বিকৃত ও ডিপফেইকের ঘটনা বাড়ছে। ফলে একরকম বিভ্রান্তিকর অবস্থা ও হেনস্তার মতো পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন তারা। এবার তা নিয়ে সরব হলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই এর অপব্যবহারে কীভাবে নারীদের, বিশেষ করে তারকাদের ছবি ও ভিডিও বিকৃত করা হচ্ছে- তা নিয়েই কথা বলেছেন মেহজাবীন। এছাড়াও এ ধরণের কর্মকাণ্ডকে সরাসরি ডিজিটাল সহিংসতা বলেও অভিহিত করেন অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে মেহজাবীন উল্লেখ করেছেন, ‘প্রযুক্তি আজ আমাদের জীবনের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা অনেকেই এর ভালো দিকগুলো নিয়ে আশাবাদী, কিন্তু এর অন্ধকার দিকটা আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’
মেহজাবীন লেখেন, এআই এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি। কিন্তু এটা যখন ভুল মানুষের হাতে পড়ে, তখন তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই এখন এআই ব্যবহার করে সেলিব্রিটিদের বা নারীদের ছবি ও ভিডিও বিকৃত করছে। এগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে, আর যারা বুঝতে পারে না এগুলো ভুয়া, তারা বিশ্বাস করে, মন্তব্য করে, অপমান করে।
অভিনেত্রী বলেন, এটা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এমন মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে, যারা সারাদিন ধরে শুধুই এসব করে বেড়ায়। তারা ভুল তথ্য ছড়ায়, বিভ্রান্তি তৈরি করে, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। এটা শুধু অনৈতিক না, এটা একেবারে অপরাধ।
অপব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান মেহজাবীন। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে ডিজিটাল সহিংসতা বলা যায়। এআই থামানো যাবে না, কিন্তু এর অপব্যবহার রোধ করা দরকার। আমাদের দরকার কঠোর আইন, শক্ত প্রতিরোধ, আর জনসচেতনতা। যারা এসব করে, তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
শেষে অভিনেত্রী উল্লেখ করেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের দেশে দ্রুত এমন নিয়ম-কানুন ও শাস্তির ব্যবস্থা হবে, যা সবাই— বিশেষ করে নারীদের জন্য—একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করবে।’