• ঢাকা
  • শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ৭ সফর, ১৪৪৭

ফেসবুকে যে আক্ষেপের কথা জানালেন সোহেল রানা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ১১:০৯ এএম
ফেসবুকে যে আক্ষেপের কথা জানালেন সোহেল রানা
চিত্রনায়ক সোহেল রানা। ছবি: ফেসবুক থেকে

স্বাধীনতার পর বাংলা চলচ্চিত্রে যে কয়েকজন চলচ্চিত্রে আলো ছড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। শুধু অভিনেতা নয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ এর প্রযোজক ছিলেন এই কিংবদন্তি।

 এখন সিনেমায় নেই সোহেল রানা। তবে সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত পাওয়া গেলেও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে রয়েছে আক্ষেপ। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ফেসবুকে একটি স্টেটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় এই নায়ক। 

সেখানে সাদাকালো একটি ছবি পোস্টা দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার কোন স্ট্যাটাস লাইক করলেন কিন্তু শেয়ার করলেন না লাভ কি হল। কথাটা তো সকলের মাঝে ছড়ানো গেল না। তাহলে এরকম বন্ধু রেখে লাভ কি? যা প্রচার হওয়া উচিত এবং আমি যা প্রচার করতে চাই তাই যদি না হয় তাহলে বন্ধুদের লিস্টটা কেটে ছোট করে দেয়া উচিত না?  এখন তাই করব।’

তার এই স্টেটাসে অসংখ্যজন কমেন্ট করেছেন, ‘রিয়াজুল ইসলাম নামে একজন খিলেছেন, সকলের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা যদি মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার স্যার এর গঠনমূলক পোস্ট গুলো লাইক কমেন্ট শেয়ার কোনোটাই না করেন তাহলে বিষয়টা তার মনের মধ্যে খারাপ লাগে আর সোস্যাল মিডিয়া এ যে যত লাইক কমেন্ট শেয়ার করে বিশেষ করে মানসম্মত কমেন্ট করতে হবে তাহলেই সবার সামনে আইডি পৌঁছে যায়।’

সূর্য দীপ্ত লিখেছেন, ‘স্যার আপনি নিয়মিত ভাবে লাইফে আসেন। আপনার কাছে আমরা সিনেমার সোনালী দিনের গল্প শুনতে চাই। ‘মাসুদ রানা’, ‘এপার ওপার’, ‘দোস্ত দুষমন’র মতো ছবি গুলোর শুটিং এর সময়কার মজার মজার ঘটনাগুলো আমরা জানতে চাই।’

আলভি লিখেছেন, ‘আপনার স্ট্রেট ফরওয়ার্ড কথা বলার ভাবটা সারা জীবন যেন দেখতে পাই।’

১৯৭৩ সালে সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র একটি গল্প অবলম্বনে ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একই ছবির মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন। এখানে তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে খ্যাত কবরী। এরপর অসংখ্য ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন অভিনয়ের মুগ্ধতা ছড়িয়ে।

সোহেল রানার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পারভেজ ফিল্মসের ব্যানারে ৩০টির অধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলো হলো- ওরা ১১ জন, মাসুদ রানা, দস্যু বনহুর, গুনাহগার, জবাব, যাদুনগর, জীবন নৌকা, যুবরাজ, নাগ পূর্ণিমা, বিদ্রোহী, রক্তের বন্দী, লড়াকু, মাড়কশা, বজ্রমুষ্ঠি, ঘেরাও, চোখের পানি, ঘরের শত্রু, গৃহযুদ্ধ, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা, শত্রু সাবধান, খাইছি তোরে, ভালোবাসার মূল্য কত, অন্ধকারে চিতা, ভয়ংকর রাজা, ডালভাত, চারিদিকে অন্ধকার, রিটার্ন টিকিট ও মায়ের জন্য পাগল। গুণী এই নায়কের ছেলেও এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই নির্মাণ করেন ‘অদৃশ্য শত্রু’ নামের চলচ্চিত্র।

দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনে সোহেল রানা তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ব্যক্তিজীবনে সোহেল রানা ১৯৯০ সালে বিয়ে করেন ডা. জিনাত পারভেজকে। তাদের সুখের দাম্পত্যে একমাত্র সন্তান মাশরুর পারভেজ জিবরান।

Link copied!