বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র এবং নায়িকা হেমা মালিনী–র প্রেমের গল্প এক সময় পুরো ভারত জুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। একসঙ্গে সিনেমার শুটিংয়ের সময় থেকেই তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কিন্তু সমস্যা ছিল—তখন ধর্মেন্দ্র ইতিমধ্যেই বিবাহিত, স্ত্রী ছিলেন প্রকাশ কৌর।
কয়েক বছর প্রেম করার পর যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা, তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় আইন ও সমাজ। কারণ, হিন্দু বিবাহ আইনে একজন পুরুষের জীবিত অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ বৈধ নয়।
এই বাধা এড়াতেই দুজনই ধর্মান্তরিত হন। বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন যেন আইনগতভাবে বিয়ে করা সম্ভব হয়। ধর্মান্তরের পর ধর্মেন্দ্র নতুন নাম রাখেন দিলওয়ার খান, আর হেমা মালিনীর নাম হয় আইশা বিবি।
তবে ইসলাম গ্রহণের পরও তারা এই নামগুলো কখনোই প্রকাশ্যে ব্যবহার করেননি, এমনকি ধর্মীয় রীতিতেও ইসলাম পালন করতে দেখা যায়নি।
শরীয়ত আইন অনুযায়ী, মুসলিম পুরুষ একই সঙ্গে চারটি বিয়ে করতে পারেন। সেই সুযোগেই নাকি ১৯৮০ সালে ধর্মেন্দ্র হেমাকে বিয়ে করেন—স্ত্রী প্রকাশ কৌর বিচ্ছেদে রাজি না হওয়ায়।
যদিও ধর্মান্তর বা দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি নিয়ে ধর্মেন্দ্র কিংবা হেমা মালিনী কেউই কখনো প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি।
ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর দাম্পত্য জীবন এখনো স্থিতিশীল। তাদের দুটি কন্যা—ঈশা দেওল ও আহনা দেওল—বলিউডে অভিনয় করেছেন। ধর্মেন্দ্রর প্রথম সংসার থেকেও রয়েছে চার সন্তান, যার মধ্যে অভিনেতা সানি দেওল ও ববি দেওল বলিউডে এখনো সমান জনপ্রিয়।


































