• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পুলিশি বাধায় ছাত্রদলের অনশন পণ্ড


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৩:২৩ পিএম
পুলিশি বাধায় ছাত্রদলের অনশন পণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদলের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতীকী অনশন শুরু করেন ছাত্রদল নেতারা। বিকেল ৩টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলার কথা ছিল।

এর আগেই বেলা ১২টার দিকে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বিশাল ফোর্স নিয়ে বাধা দিয়েছে, পরে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। তবে কাউকে আটক করেনি। কিন্তু কয়েকজনকে লাঠিচার্জ করেছে। আমরা বিকেল ৩টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সেখানে প্রতীকী অনশন করতে চেয়েছিলাম।”

শান্তিপূর্ণ এমন কর্মসূচিতে পুলিশের এই বাধার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা বলে জানান তিনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার বলেন, “আমরা কোনো বাধা দিইনি। নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স আনা হয়েছিল। তাদেরকে আমরা অনুরোধ করেছি বিষয়টা দ্রুত শেষ করার জন্য। কোনো বলপ্রয়োগ করা হয়নি। পরে তারাই দ্রুত সময়ে কর্মসূচি শেষ করে দিয়েছে।”

এ সময় অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশনে বসেছি। তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই অমানবিক ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি আমরা।”

আমাদের আজকের এই অনশন কর্মসূচি বিকেল তিনটা পর্যন্ত চলমান থাকবে এবং যতদিন পর্যন্ত ভিসি পদত্যাগ না করবে ততদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলবে বলেও জানান ছাত্রদলের এই নেতা। 

এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির নির্দেশে বর্তমান সরকারের পেটুয়া বাহিনী পুলিশলীগ ও ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় যেসব শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা অনশন শুরু করেছি।”

ইকবাল হোসেন আরও বলেন, “ভিসি মানে শিক্ষক এবং শিক্ষক মানে অভিভাবক। কিন্তু শাবিপ্রবির ভিসি তার অভিভাবকসুলভ আচরণ না করে যে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তার বিচার চেয়ে ভিসিকে অপসারণের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনশনে সংহতি জানিয়ে আমরা এখানে বসেছি।”

এ সময় অনশনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও অন্যান্য ইউনিটের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। 

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!