• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জবি মিলনায়তনের জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
জবি মিলনায়তনের জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তন অত্যাধুনিকভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি)।

শনিবার (১০ জুন) রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এ তথ্য জানান।

উপাচার্য কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম আধুনিকায়ন ও শিক্ষার্থীদের টয়লেট নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য এককালীন দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ‘সিটি কর্পোরেশনের জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ খাতের বরাদ্দকৃত অর্থের অনুমোদিত বিভাজন অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুকূলে শর্তসাপেক্ষে অবমুক্তিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”

কামালউদ্দীন আহমদ জানান, “মন্ত্রী মহোদয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকা দিতে পেরে খুশি বলে আমাদের জানিয়েছেন। অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী সাহেব যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করলেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। একই সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগকেও ধন্যবাদ, তাদের তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে।”

এ বরাদ্দের বিষয়ে সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনও প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।

প্রজ্ঞাপনে শর্তাবলী দিয়ে বলা আছে, ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিএ-২০০৬, পিপিআর-২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ ৩০ জুন ২০২৩ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন ব্যতীত অন্য কোনো কাজে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

বরাদ্দ পাবার বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, “আমরা চাই আমাদের ক্যাম্পাস আধুনিকায়ন হোক। ছোট ক্যাম্পাসটা যেন শিক্ষার্থীদের মনে গেঁথে থাকে তেমনিও হোক। এ জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার আমরা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেভাবেই কাজ করে যাবো। ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রশাসনকে সহয়তা করবে।”

তিনি আরও বলেন, “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় আমরা শিক্ষার্থী ভাই বোনদের পক্ষ থেকে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম মহোদয়ের কাছে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সংস্কারের দাবী জানিয়েছিলাম। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়লেটগুলোর কথাও বলেছিলাম। তিনি তখন আশ্বস্ত করেছেন এবং পরে আমাদের ডেকে নিয়ে দ্রুত কাজ করার আশ্বাস ও দিয়েছেন। এ জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মন্ত্রী মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।“

এর আগে চলতি বছরের ১২ই মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজিত এক সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম কেন্দ্রীয় মিলনায়তনকে আধুনিকায়ন ও শিক্ষার্থীদের জন্য টয়লেট নির্মাণ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

Link copied!