• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

পাসের হার কমার কারণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
পাসের হার কমার কারণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে শুক্রবার (২৮ জুলাই)। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে প্রায় ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। পূর্ণ নম্বর পরীক্ষা না হওয়ায়সহ বেশ কয়েকটি কারণে এ বছর কমেছে পাসের হার কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শুক্রবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

দীপু মনি বলেন,  “এ বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন। যেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। আর পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অপরদিকে গত বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন এবং পাসে হার দাঁড়িয়েছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।”

শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মনে রাখতে হবে- এর আগে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হয়নি। এছাড়াও অল্প কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। সময় কম থাকার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র কম ছিল। কিন্তু এবার পূর্ণ নম্বরে সকল বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই গত বছরের তুলনায় এবারের পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার কিছুটা কমবে। আপনি যদি তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দেন। আবার সেইস্থলে পরবর্তী সময়ে ১০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে পুরো ১০০ নম্বরে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাহলে পাসের হারে সেখানে কমবে এবং কম বিষয়ে পাসের হার বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক।”

সামনে নির্বাচন আসছে। এতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এতে কী ধরনের ব্যবস্থা থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণিকক্ষে পাঠগ্রহণ যেন যথাযথভাবে করতে পারে। আমাদের সেই কার্যক্রম চলবে। অতিমারি আমাদের কারও হাতে ছিল না। কিন্তু অতিমারিকে সামাল দিয়ে আমরা একটি জায়গায় পৌঁছেছি। রাজনীতি, আন্দোলন নিজস্ব বিষয় হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে থাকে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি- রাজনীতি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। দেশের ভবিষ্যৎ হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে জিম্মি করে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলে তা অপরাজনীতি হবে। তা জনগণের কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে না। কাজেই আমরা আশা করব, যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে। তারা যেকোনো কর্মসূচি দিন না কেন? এতে যেন আমাদের সন্তানদের পড়ালেখার ক্ষতি না হয়।” 

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!