গোপনে সহপাঠীদের ঘুমন্ত অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
গোপনে সহপাঠীদের ঘুমন্ত অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে নারী সহপাঠীদের অজ্ঞাতে ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রী সম্প্রতি বাকৃবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ইন্টার্নশিপ চলাকালে নারী সহপাঠীদের ঘুমন্ত, অপ্রস্তুত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে এক প্রাক্তন সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠাতেন। ওই সিনিয়র বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কর্মরত।

গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত ছাত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে একদল শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ বলেন,

“শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। পরে অভিযুক্তের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে আমরা ছবি আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনাটি স্বীকার করেছে।”

তিনি আরও জানান, মোবাইল ফোনটি বর্তমানে সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। “বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে,” বলেন ডিন।

যার কাছে ছবিগুলো পাঠানো হয়েছিল, সেই সিনিয়র ছাত্র বলেন, “মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যে ছবিগুলো পাঠিয়েছে, আমি সেগুলো সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।”

অভিযুক্ত ছাত্রীর সহপাঠীরা জানান, ইন্টার্নশিপ চলাকালে তার সন্দেহজনক আচরণ তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কয়েকজন বন্ধুর মাধ্যমে তারা নজরদারিতে রাখেন এবং নিশ্চিত হন যে তিনি গোপনে মেয়েদের ছবি তুলছিলেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তারা শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও নৈতিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

বাকৃবি প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটি তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে। প্রমাণ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!