শিক্ষা ও আইসিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস’ কর্তৃক সংবর্ধিত এবং পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জমকালো অনুষ্ঠানে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মো. জসিম উদ্দিন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। এ ছাড়াও ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসের বাংলাদেশ বিভাগের সভাপতি রওমান স্মিথা এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইভেন্টে যোগ দেন ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসের গ্লোবাল সভাপতি ড. দিবাকর সুকুল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর এম লুৎফর রহমান।
ড. মো. সবুর খান বলেন, “এই অর্জনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার প্রিয় সহকর্মী ও শুভাকাঙ্খীরাদের। তাদের নিরলস পরিশ্রম ও একাগ্রতা আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়। বিশেষ করে, কারোনা মহামারির সময়ে আমরা দেখেছি বহু প্রতিষ্ঠান যেখানে স্থবির হয়েছিল, এর শুরু থেকে আমরা নিজেদের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনলাইনে করেছি এবং সেখানেও সফলতা পেয়েছি।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা আনন্দিত যে এমন একজন এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। যিনি তারুণ্যের জয়গান করে যাচ্ছেন। দেশের তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিতে নিরলস পরিশ্রম করছেন। ২০১২ সালে ঢাকা চেম্বার কমার্সের সভাপতি থাকা অবস্থায় দুই হাজার তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির যে পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন, এক কথাই তা অসাধারণ। আরও ভালো লাগে শুনতে তিনি এখনো এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এই সম্পর্কিত বিভাগও চালু করেছেন। বাংলাদেশের এমন একজন আইটি স্বচ্ছ ব্যক্তিত্বের অধিকারি ড. মো. সবুর খানের এই অর্জন আমাদের জন্যও গর্বের।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার, ট্রেজারার মমিনুল হক মজুমদার, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস হলো যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংস্থা। যা বিশ্বজুড়ে অসাধারণ অর্জনগুলোকে সার্টিফাই, যাচাই এবং রেকর্ড করে।
