• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কর্মচারীর অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ


রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩, ০১:১১ পিএম
রাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কর্মচারীর অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের কক্ষে ডেকে নিয়ে রফিকুল ইসলাম নামের এক কর্মচারীকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের কর্মচারী।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোমিন ইসলাম ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম। মোমিন সংস্কৃত বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশন এবং মাজহার ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি মঙ্গলবার সকালে বিভাগের কাজকর্ম করছিলাম। এ সময় আমাকে সোহরাওয়ার্দী হলের ৩৬৪ নম্বর কক্ষে ডাকা হয়। আমি সেখানে গেলে রুমের দরজা-জানালা বন্ধ করে মোমিন ও মাজহারুল মিলে আমাকে মারধর করে এবং আমার কাছে থাকা ৩০ হাজারের মতো টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মমিন ইসলাম বলেন, “রফিকুল ভাই আমার বিভাগের কর্মচারী। তিনি সন্তানের অসুস্থতার কথা বলে আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু দুই মাস পার হলেও টাকা দিচ্ছিলেন না। টাকার জন্য আমি তাকে ডাকি এবং একসঙ্গে চা খাওয়ার পর টাকাটা চাইলে তিনি বলেন টাকা তো আমি আরেকজনের মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছি। পরে আমি বললাম আমি তো টাকা পাইনি। উনি বললেন ভাই তাহলে আমি পরে আপনাকে টাকা দিয়ে দেব একটু সময় দেন। তারপর উনি চলে যান।”

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে মাজহারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমার হলের সংস্কৃতি বিভাগের কর্মচারী রফিকুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম ও জোহা হলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে যান। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আপাতত ৩৬৪ নম্বর কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” 

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!