একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে ওই নেতাকে আপিল মঞ্জুর করে পূর্বের রায় বাতিল করেছে।
এই রায়ের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে ওই মিছিলটি আব্দুল জব্বার মোড় থেকে শুরু হয়ে কামাল রঞ্জিত মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়। এ ছাড়া নেতাকর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলার নিন্দা জানান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ হাসান ওয়ালিদ জানান, আপিল বিভাগের রিভিউ শুনানির রায়ে এটিএম আজহারকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে। যা বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেনি। এর আগে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রভাব দ্বারা ত্রুটিপূর্ণ বিচারের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গণ-দাবিকে নিজের ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার বানিয়েছিল। যা প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এর ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। কিন্তু ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঠিক একই প্রক্রিয়ায় বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমন হঠকারী রায় ঘোষণা করলো আপিল বিভাগ।
জায়েদ হাসান ওয়ালিদ আরও জানান, পূর্বের রায়ের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকলে নতুন করে শুনানি শুরু করা যেত। অথচ তা না করে রিভিউ শুনানির রায়ে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হলো। এটিএম আজহার ও তার দল জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল এবং গণ-হত্যায় অংশগ্রহণ করেছিল। এই রায় স্পষ্টতই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। এর মাধ্যমে আদালতের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।