• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২,
  • ২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

দেশব্যাপী তিন দফা দাবিতে ৩ দিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এর ফলে, সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে দাবির ব্যাপারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পাওয়ায় ঐক্য পরিষদ এই কর্মসূচি পালন করছে।

কর্মবিরতির সময়সীমা ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয়ে ২৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত চলবে। ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগম সোমবার রাতে ঢাকা পোস্টকে বলেন, "আমাদের তিনটি দাবি রয়েছে: সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেড দেওয়া, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন। দীর্ঘদিন ধরে এসব দাবিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে, কিন্তু কোনও বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, তাই আমরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছি।"

তিনি আরও জানান, যদি এই কর্মসূচির পরও দাবি পূরণ না হয়, তাহলে সহকারী শিক্ষকরা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন করার ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনূর আকতার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। তাই কর্মসূচি আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"

তিনি আরও বলেন, গত ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সরকার কোনও উদ্যোগ গ্রহণ না করায় সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন আরও জোরালো হয়েছে। তিনি দেশের সকল সহকারী শিক্ষককে ন্যায্য দাবির জন্য এই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।

বিস্তারিত দাবি:

সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

১. এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেড: সহকারী শিক্ষকরা দাবি করছেন, তাদের পদকে এন্ট্রি পদ হিসেবে ধরে ১১তম গ্রেড দেওয়া হোক, কারণ অন্যান্য সরকারি চাকরির জন্য স্নাতক ডিগ্রির প্রার্থীও এই গ্রেড পাচ্ছেন।

২. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি: সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড: ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, যা এখনও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত। সম্প্রতি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০তম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছিল, তবে সহকারী শিক্ষকেরা এতে অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্নাতক ডিগ্রিসহ ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন, অথচ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকেরা স্নাতক ডিগ্রি ছাড়াও সিএনএড, বিপিএড বা বিটিপিটি কোর্স সম্পন্ন করেও এখনও ১৩তম গ্রেড রয়েছেন, যা তাদের কাছে অবিচার মনে হচ্ছে।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!