• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২,
  • ২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

স্ত্রী-সন্তান আছে জেনেও ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে, কতটা সুখী ছিলেন হেমা মালিনী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
স্ত্রী-সন্তান আছে জেনেও ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে, কতটা সুখী ছিলেন হেমা মালিনী

বলিউডের কিংবদন্তি তারকা ধর্মেন্দ্র (৮৯) মারা গেছেন। সিনেমার মতই বর্ণঢ্য ছিল তার ব্যক্তিজীবন। বিশেষ করে ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর সম্পর্ক বলিউডের ইতিহাসে আজও উজ্জল। সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করতে করতেই বাস্তব জীবনের প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অভিনেতার মৃত্যুর পর ফের সামনে এসেছে তাঁদের প্রেম ও সংসার জীবনের নানা বিষয়।

১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন মে জাওয়ান’ সিনেমার সেটে প্রথম দেখা হয় ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর। এরপর পরিচয়-প্রেম। ধর্মেন্দ্র তখন স্ত্রী প্রকাশ কৌরের ঘর করছিলেন। তাদের সংসারে চার সন্তান- সানি দেওল, ববি দেওল, বিজেতা ও আজিতা। তবুও হেমার প্রতি তার টান দিন দিন বেড়েই যায়। ১৯৮০ সালে সমাজিক বাধা ও নানা জটিলতার মাঝে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ধর্মেন্দ্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হেমাকে বিয়ে করেন। ধর্মেন্দ্র পরিবর্তন করে হন দিলাওয়ার খান, আর হেমা হন আইশা বি আর। বিয়ে হয় গোপনে, মাত্র দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে।

পরে হেমার দক্ষিণ ভারতীয় পারিবারিক রীতি অনুযায়ী একটি আইয়েঙ্গার স্টাইলের প্রথাগত বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। বিয়ে নিয়ে তখন অনেক বিতর্ক হলেও পরে অনেককিছু মেনে নিয়েই সংসার করতে হয়েছে হেমাকে। কখনো ধর্মেদ্রের হাত ছাড়ার চিন্তুাও করেননি। সময়ের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রের জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অটুট ছিল তাদের সম্পর্ক।

২০২৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনী বলেন, ‘সবাই ভালোভাবে বাঁচতে চায় কিন্তু তারপরও জীবনে অনেক কিছু ঘটে, যা মেনে নিতে হয়। আমি খারাপ অনুভব করি না বরং নিজের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নারী স্বামী, সন্তানসহ পূর্ণ একটি পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক সংসার চায়। কিন্তু আমার জীবন অন্য পথে গেছে। তবুও আমি খুশি, আমার দুই মেয়ে, তাদের আমি খুব ভালোভাবে মানুষ করেছি।’

‘হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ বইতে অভিনেত্রী উল্লেখ করেছেন, বিয়ের আগে তিনি ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে মাত্র কয়েকবার দেখা করেছেন।

হেমা মালিনীর কথায়, ‘আমি কখনও কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। ধর্মেন্দ্রজি আমার ও মেয়েদের জন্য যা করেছেন তাতে আমি খুশি। তিনি একজন বাবার দায়িত্ব যেভাবে পালন করেছেন তাতে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’

জানা যায়, হেমা মালিনী ও দুই মেয়ে থেকেছেন মুম্বাইয়ে, আর ধর্মেন্দ্র জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন প্রথম পরিবারের সঙ্গে। এমনও শোনা যায়, ধর্মেন্দ্রর প্রথম পরিবারের জুহুর বাড়িতে কখনও যাননি হেমা মালিনী। তবুও দুই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ। বিয়ে, জন্মদিন, বিশেষ অনুষ্ঠান, সবখানেই দেখা মিলেছে অভিনেতার।

ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী পর্দায় একসঙ্গে ৪২টি সিনেমায় কাজ করেছেন। এসব সিনেমার মধ্যে আছে ‘শোলে’, ‘সীতা আউর গীতা’, ‘নসীব’, ‘আলিবাবা অউর ৪০ চোর’, ‘আন্ধা কানুন’, ‘ছোট্ট সি বাত’, ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ ইত্যাদি।

ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রেম শুধু একটি চলচ্চিত্রি রোমান্স নয়-এটি সময়ের, সমাজের ও ভালোবাসার সীমারেখা পেরিয়ে যাওয়া এক বাস্তব উপাখ্যান। তাদের ভালোবাসার গল্প প্রমাণ করে, সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও বয়স, ধর্ম বা সমাজের বাধায় থেমে যায় না। সূত্র: এনডিটিভি

Link copied!