স্বাস্থ্যবিধি মেনে দীর্ঘ ১৮ মাস পর খুলে দেওয়া হয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) তিনটি আবাসিক হল। আগে থেকেই হলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) হলে উঠতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। বহিরাগতদের যাতে হলে ঠাঁই না হয়, সে জন্য সজাগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সকাল সকাল হলমুখী হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষও ফুল দিয়ে বরণ করেন তাদের।
মুখতার ইলাহী আবাসিক হলের এমএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন, সফিক রেহমান, আসাদুজ্জামান বলেছেন, “টানা স্তব্ধতা কাটিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে যেন নতুন স্বপ্ন জেগেছে তাদের মধ্যে। মুক্ত বিহঙ্গে ডানা মেলে ঘোরার অনুভূতি পেয়ে বসেছে আজ থেকে। বন্ধু-বান্ধব সহপাঠীদের পেয়ে যেন পরিবারের আপনজনকে পেয়েছেন তারা।”
এদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী বর্ষা রানী, মেধা রায়, জিনিয়াসহ অনেকেই বলেন, “গত ১৮ মাস নিজের বাড়ি আর মেসে থেকে বন্দি জীবন পার করেছেন। অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা হলেও মনের খোরাক মেটেনি। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে আমাদের। হলে ওঠায় সব শঙ্কা কেটে গেছে। ভরে গেছে মন।”
করোনা মোকাবেলায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজের টিকাও সম্পন্ন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. সরিফা সালোয়া ডিনা জানান, আগামী ১১ নভেম্বর থেকে সশরীর ক্লাস শুরু হলে শিক্ষার্থীদের পদচারণে ভরে উঠবে ক্যাম্পাস। করোনা মোকাবেলাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় যাতে হলে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের ঠাঁই না হয়, সেদিকেও সজাগ থাকার কথা জানান তিনি।
এ সময় তিন হলের প্রভোস্ট তাবিউর রহমান প্রধান, ড. রশিদুল ইসলাম, জনি পারভীনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ মুখতার এলাহী ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসনসংখ্যা রয়েছে এক হাজারের মতো। আর ২২ বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আট হাজার।