ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরষ্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। এই ফান্ড থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য বৃত্তি ও পুরস্কার প্রদান করা হবে।
শনিবার (১০ অক্টোবর) এই ট্রাস্ট গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের কাছে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় টেস্ট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, “প্রতিবছর এই ফান্ড থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের থিসিস গ্রুপের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গবেষণার কাজে সুবিধার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হবে। সেই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ গবেষণা কর্মের জন্য একজন শিক্ষার্থী পাবেন আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার।”
নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ড. আলী রীয়াজ লিখেন, “আজকের দিনটি আমার জন্যে একই সাথে কৃতজ্ঞতা স্বীকারের এবং স্মৃতি কাতরতার। ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার সূচনা হয়েছিলো গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী হিসেবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে মধুর ক্যান্টিন, বটতলা থেকে টিএসসি আমাকে তৈরি করেছে। সেই সময়ের শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু’তে আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন—একাধিকবার। দুই দফায় পাঁচ বছর শিক্ষকতার সুযোগ পেয়েছি। এই সব ঋণ অপরিশোধ্য। সেই ঋণ স্বীকারের চেষ্টায় আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্যে গবেষণা বৃত্তি এবং পুরস্কার প্রদানের কাজের সূচনা হল। ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠনের উদ্দেশ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করা, তাদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান। আর আমার জন্যে এ হচ্ছে আমার সীমাবদ্ধ সামর্থ্যের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমার ঋণ স্বীকার, আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রত্যাবর্তনের।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই অনুদানের জন্য় প্রফেসর ড. আলী রীয়াজকে ধন্যবাদ জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “এই অনুদানের মাধ্যমে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা গবেষণায় আরও উৎসাহিত হবে।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার এবং আলী রীয়াজের বড় বোন সফুরন আরা।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক শ্রেণির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এরপর তিনি এই বিভাগের শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৯ এবং ১৯৮২ সালে আলী রীয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু সাহিত্য সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
