আগামী ২১ অক্টোবর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। একাডেমিক কাউন্সিলের এ সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলো।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে একাডেমিক কাউন্সিল মিটিং শেষে আগামী ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সুপারিশ গৃহীত হয়। এরপরেই শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করা হয়।
এক বিবৃতিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক শোভন রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বলেন, “২১ অক্টোবর এত বিলম্বে হল খোলার সিদ্ধান্ত ছাত্র স্বার্থবিরোধী। গড়িমসি না করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই হল খুলে দিতে হবে। প্রশাসনের এই গড়িমসির টালবাহানার কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।”
হল খুললে হলের পরিবেশ কেমন হবে, স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যবস্থা ও খাদ্য কীভাবে নিশ্চিত হবে, চিকিৎসাব্যবস্থা কীভাবে পরিচালনা করবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুত হল খোলার দাবি জানান তারা।
ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুষার ধর ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যখন হল খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার পথে আছে, তখন ২১ অক্টোবর হল খোলার সুপারিশ দুরভিসন্ধিমূলক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েও নিজেদের সুবিধামত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তারা।
আগামী ২ অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় এনে, তাদের প্রাধান্য দিয়ে তাদের অধিকার এর প্রতি সম্মান দেখাবেন বলে নেতৃবৃন্দ আশা ব্যক্ত করেন।
এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ অক্টোবরের মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সরকারের সিদ্ধান্ত থাকার পরেও দীর্ঘ সময় পরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সুপারিশ কেন করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান বলেন, “সভায় শিক্ষকেরা পূজার ছুটি শেষে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। সে কারণে ২১ অক্টোবর হল খুলে দেওয়া হবে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাসের টিকার কমপক্ষে একটি ডোজের সনদ দেখিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারবেন। হল খোলার পর ১৪ দিন হলে থেকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।”
