দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টায় এ উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে এক শোভাযাত্রা বের হয়। পরে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
পরে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হকের সঞ্চলনায় ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং ঢাবির নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকীন) বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী।
এছাড়া বাদ ফজর ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবিকে সমাহিত করা হয়।