• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বারবার মাপ নেয়, সেতু আর হয় না’


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩, ১০:০৮ পিএম
‘বারবার মাপ নেয়, সেতু আর হয় না’

জয়পুরহাটে তেঘর বিশার জুংলিপাড়া-আজাদপাড়া খালের ওপর বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে হাজার হাজার মানুষ। এতে বাঁশ ভেঙে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ দুপারের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের তেঘরবিশা জুংলীপাড়া-আজাদপাড়া গ্রামের কয়েকহাজার মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। যুগের পর যুগ এখানে সেতু না থাকায় গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে এই সাঁকো নির্মাণ করলেও বর্তমানে সেটি বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে গেছে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সাঁকোটি। কোনো যানবাহন পারাপার হতে না পারায় হেটেই চলাচল করতে হয় এখানকার মানুষদের। অসুস্থদের হাসপাতালে নিতে পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ।

জুংলীপাড়ার শারমিন আক্তার বলেন, “এই বাঁশের সাঁকোর কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় যাতায়াত করতে গিয়ে পড়ে কারও হাত ভাঙে, কারও পা ভাঙে। সরকার এখানে একটি সেতু করে দিলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়।”

আজাদপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামান নামের একজন বলেন, “দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। এখানে নতুন করে সেতু হওয়ার কথা আমরা দীর্ঘদিন থেকে শুনে আসছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইঞ্জিনিয়ার এসে বারবার মাপ দিয়ে যায়, কিন্তু কাজ হয় না। আমাদের গ্রাম থেকে সরাসরি ভ্যান রিকশাসহ কোনো যানবাহন চলাচল করে না। এতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় “

মোসলেম উদ্দীন বলেন, “আমরা গ্রামবাসীর কাছ থেকে বাঁশ নিয়ে, কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেরাই এ বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি। কিন্তু কয়েক মাস যেতেই বাঁশগুলো ভেঙে যায়। এই সাঁকো দিয়ে কোনো পরিবহন যাতায়াত করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার সময় কাঁধে করে রোগীকে ওই পারে নিয়ে যাওয়ার পর গাড়িতে তুলতে হয়। কোনো মালামাল পরিবহন করা যায় না। এ জন্য আমাদের অনেক দুর্ভোগ। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এখানে যেন দ্রুত একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়।“

এ ব্যাপারে মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান জানান, জনদুর্ভোগের কথা ভেবে এখানে দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সেতুটি নির্মাণে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে।

Link copied!