সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলশিক্ষিকাসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৯ জন।
শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের তুজুলপুর ও সকালে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামের মৃত মাজেদ মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেন বাবু (৪৫) ও শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বড়কুপট গ্রামের দেবনাথ রপ্তানের স্ত্রী ও সোয়ালিয়া সরকরারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রিতা রানী (৪৫)।
এছাড়া আহতরা হলেন রইচপুর গ্রামর মোকলেছুর রহমান (৩২), ইজ্ঞিনভ্যান চালক ছলেমান (৩৫), সুপারিঘাটা গ্রামের কার্ত্তিক দাস (৩৩), বাঙালের মোড়ের ইসলামসহ (৫৫) ৯ জন।
স্থানীয়রা জানান, শ্যামনগর উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা স্বপ্নীল পরিবহন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের সদর উপজেলার তুজুলপুর এলাকায় বিপরীতদিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিন ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পরিবহনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ইঞ্জিনভ্যানটি রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে। ইঞ্জিনভ্যানের যাত্রী ফারুক হোসেনসহ মোট ১০ জন গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ফারুক হেসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত ৯ জনের মধ্যে তিন যাত্রীর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতদের সদর হাসাপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে সকালে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন রিতা রানী। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রিতা রানীকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর ও শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ এ দুটি ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহতদের সদর হাসাপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
