সিরাজগঞ্জে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের অন্তত ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও কোথাও ধীরগতি ও থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ নলকা সেতু এলাকায় নতুন সেতুর কাজের পাশাপাশি এক লেন বন্ধ করে মহাসড়ক উন্নীতকরণের কাজ চলায় এ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তি এড়াতে অনেক দূরপাল্লার যানবাহন মহাসড়ক ছেড়ে সিরাজগঞ্জ শহরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের নলকা সেতু এলাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ওই এলাকায় নতুন সেতুর কাজের পাশাপাশি এক লেন বন্ধ করে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এতে মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকা হতে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আজাহার নামে ঢাকা থেকে বগুড়াগামী দূরপাল্লার এক বাসের চালক জানান, মহাসড়কে যানজটের কারণে সিরাজগঞ্জ শহরের ভিতর দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে যাচ্ছি। এ রাস্তাতেও কোথাও কোথাও যানজট লেগে যায়। তবে তারপরও মহাসড়কের তুলনায় এদিক দিয়ে আগে যাওয়া যায়।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জানান, নলকা সেতুর সংস্কার কাজ চলমান থাকায় একটি লেন বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখানে ৪-৫ কিলোমিটার যানজট রয়েছে। এছাড়াও মহাসড়ক উন্নীতকরণের কাজ চলায় কড্ডার মোড় এলাকা থেকে মহাসড়কে খুবই ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
লুৎফর রহমান আরও বলেন, “আমরা প্রতিদিনই নিরলসভাবে কাজ করে রাস্তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও সড়কে উন্নয়নমূলক কাজ চলায় রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত এই সমস্যা কাটানো যাচ্ছে না।”
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. সালেকুজ্জামান সালেক বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বলেন, “সকালের দিকে মহাসড়কে যানজট কম থাকলেও এখন একটু বেড়ে গেছে। নলকা সেতু এলাকাসহ মহাসড়কজুড়ে কাজ চলায় এবং কিছু জায়গায় কাজের কারণে এক লেন বন্ধ থাকায় মূলত এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।”
