তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, “জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিপালিত হয় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। সেজন্য সাধারণ জনগণসহ সবার সঙ্গেই তাদের ভাষা ও ব্যবহারে মার্জিত, শোভন ও শালীনবোধ থাকা বাঞ্ছনীয়।”
রোববার (৫ ডিসেম্বর) জামালপুর সার্কিট হাউজে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুরাদ হাসান আরও বলেন, “সেবা দেওয়া ছাড়া তারা কারো সঙ্গেই কোনো অশোভন আচরণ করার অধিকার রাখেন না। এটা আমার কথা নয়, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাছির উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে যে অশোভন আচরণ করেছেন, তা আমি বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হয়েছি। সাংবাদিক ভাইদের কাছ থেকেও বিস্তারিত শুনলাম। এ বিষয়ে আমি সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।”
জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহমেদের অপসারণের দাবিতে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) মেলা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করতে ডাকেন পুলিশ সুপার। ডাকে সারা দিতে না পারায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে ধরে পিটিয়ে চামড়া তুলে ফেলা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকি দেন।