• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কুমিল্লায় তেলের বাজারে তেলেসমাতি


কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২২, ১০:০২ এএম
কুমিল্লায় তেলের বাজারে তেলেসমাতি

কুমিল্লার তেলের বাজারে তেলেসমাতি শুরু হয়েছে। হঠাৎ করেই বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় তেলের দাম বাড়তে পারে এবং তেলের সংকট দেখা দিতে পারে এমন খবরে বাড়তি দামে বিক্রি করার লক্ষ‌্যে ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা তেল মজুদ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সাধারণ মানুষও চাহিদার তুলনায় বেশি করে তেল কিনতে শুরু করেছেন।

জেলার বিভিন্ন বাজারে বুধবার (২ মার্চ) সকালে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি হলেও সন্ধ্যায় তা গিয়ে ঠেকেছে ২০০ টাকার ঘরে। তবে এখন অনেক দোকানিই বলছেন, তেল নেই।

বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, রাণীর বাজার, বাদশা মিয়াবাজার ও টমছম ব্রিজ বাজার ঘুরে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কুমিল্লা টমছম ব্রিজ এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সজীব আহম্মেদ জানান, গত দুই-তিনদিন ধরেই সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে। আমরা খুচরা ব্যবসায়ী। ডিলার ও আড়ৎদাররা আমাদের তেল দিচ্ছেন না। আমার কাছে এখন এক লিটারের দুই তিনটি বোতল আছে। পাঁচ লিটারের কোনো বোতল নেই। অনেক ব্যবসায়ীকেই আজ বাড়তি দামে তেল বিক্রি করতে দেখেছি। আমি ১৭০ টাকা দরেই তেল বিক্রি করছি। তবে, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সয়াবিন তেল বেশি বিক্রি হয়েছে।

নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার মুদি ব্যবসায়ী মো. সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, “আমার কাছে খোলা কিংবা বোতলজাত কোনো তেল নেই। গত দুইদিন ধরে কেউ তেল সাপ্লাই দিচ্ছে না। রাশিয়া ও ইউক্রেনের অস্থিতিশীল অবস্থার কারণেই দেশে তেলের বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম। খোলা সয়াবিন তেলও লিটার প্রতি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম আরও বাড়তে পারে।”

টমছম ব্রিজ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ‌্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাইদুল ইসলাম বলেন, “গত সপ্তাহে তেল কিনেছি ১৬০ টাকা লিটার, আজ সেই একই তেল ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তবুও বোতলজাত তেল পাইনি। খোলা তেল কিনতে হয়েছে। করোনার কারণে ৩ বছর ধরে বেতন বাড়ছে না। মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকবে? জিনিসপত্রের দাম মনে হয় ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে।”

এদিকে দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করলেও কুমিল্লার বাজারে তেলের সংকট রয়েছে এমনটি মানতে রাজি নয় রাজগঞ্জ বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজগর। তিনি বলেন, “প্রত্যেকটা দোকানে কম-বেশি তেল আছে। যারা বলে তেল নেই, তারা গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।”

একই সুর ভোক্তা অধিদপ্তরের। জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম বলেন, “নগরীর বাজারগুলোতে তেল নেই বিষয়টি পুরোপুরি গুজব। প্রত্যেকটা গুদামে আমরা মনিটরিং করেছি। পর্যাপ্ত তেল মজুত আছে। তবে তেলের বাজারে দামের অস্থিরতা রয়েছে।”

Link copied!