এবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রাকচাপায় বিপ্লব সরকার (১৪) নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কালুপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরআগে সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টায় রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নামে এক এসএসসি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বিপ্লব পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বিনোদ সরকারের ছেলে এবং উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী রাতুল ইসলাম জানান, বিপ্লবসহ পরিবারের কয়েকজন ব্যাটারিচালিত অটো-রিকশাযোগে নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জে বৌভাতের দাওয়াতের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সংলগ্ন কালুপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের অটো-রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এসময় বিপ্লব সরকার (১৪) অটো থেকে ছিটকে সড়কে পরে যায়। পরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সুলতান মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরে পাঠানো হয়েছে। চালক পলিয়ে যাওয়ায় ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা করা হয়েছে।”
সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টায় রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নামে এক এসএসসি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত মাঈনুদ্দিন ইসলাম (১৯) এ বছর একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার চাচাতো ভাই মো. বাদশাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে রামপুরা ডিআইটি রোডের সোনালী ব্যাংকের সামনে অনাবিল বাসের চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। বাসটি উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে সায়েদাবাদ যাচ্ছিল। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর এবং অন্তত ৮টি বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
