কুমিল্লার তিতাস উপজেলার হাইধনকান্দি গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মাসুদ মোল্লা। গত বছর ছুটিতে দেশে ফিরে ৪৫ শতক জমিতে গড়ে তুলেছেন ফলবাগান। বর্তমানে তার স্ত্রী হাসিনা বেগমের পরিচর্যায় বাগানটি বেড়ে উঠছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাগানটি পরিবারের অন্যতম আয়ের উৎস হবে বলে আশা করছেন তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাগানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ। এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের বারোমাসি আম, পেয়ারা, লেবু, আপেল কুল, পেঁপে। তবে এগুলোর মধ্যে ড্রাগনই অন্যতম। এ ছাড়া ড্রাগনের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে পেঁয়াজ, লালশাক ও পালংশাক চাষ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় হাসিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, তার স্বামী সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে ফিরে প্রথমে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনিই বাগানটি দেখাশোনা করেন। ইতিমধ্যে ৩০ কেজির মতো ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। আসছে মৌসুমে ফলন আরও ভালো হওয়ার আশা করছেন। ফলের আকারও বড় হবে। এতে দামও বেশি পাওয়া যাবে। ড্রাগন ফলের চাষ দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশি এই ফল পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।
হাসিনা বেগম আরও বলেন, “আমার স্বামী আমাকে বাগান করতে উৎসাহিত করেন। এতে আমি আগ্রহী হই। পুরো জমিজুড়ে ফলের চাষ শুরু করি। আমার বাগানের তিনটি ড্রাগন ফলের ওজন এক কেজি হয়েছে। পাইকারি সাড়ে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করেছি।”
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা পান কি না জানতে চাইলে হাসিনা বেগম হাসিমাখা মুখে বলেন, “কোনো সমস্যা হলে আমি আমার স্বামীকে জানাই। তিনি সৌদি আরব থেকে ফোনে কৃষি অফিসে কথা বলেন। পরে আমাকে পরামর্শ দেন। আমি সেভাবে কাজ করি।”
এই দম্পতির ফলের বাগান প্রসঙ্গে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ড্রাগন চাষে আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। এরপরও আমরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে চাষিদের সহায়তা করছি।”