• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আজ হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২১, ০৮:২৯ এএম
আজ হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস
ছবি : দুর্জয় হবিগঞ্জ

আজ ৬ ডিসেম্বর, হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্ত হয় হবিগঞ্জ।

মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ১৯৭১ সালে ৫ ডিসেম্বর সূর্যাস্তের পর শহরে নেমে আসে ভুতুড়ে নিস্তব্ধতা। ৬ ডিসেম্বর শীতের সকালে কমান্ডার আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে ৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে অস্ত্র উঁচিয়ে হবিগঞ্জকে মুক্ত ঘোষণা করেন। পরে থানায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কমান্ডার ও হবিগঞ্জ মুক্ত দিবসের প্রধান সেনাপতি আব্দুস শহীদ জানান, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের। এরপরও হবিগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ও স্থাপনা সংরক্ষণ হয়নি। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও স্থাপনার যথাযথ সংরক্ষণ করা হয়নি। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর পাকাকরণসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছেন তিনি।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো থেকে সারা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। ৩ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন মেজর শফিউল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে পাকিস্তানিদের সাথে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিবাহিনী জেলা শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। তখন মুক্তিযোদ্ধারা তিন দিক থেকে আক্রমণ শুরু করে। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকসেনাসহ রাজাকাররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা মো. শাহাজাহান মিয়াসহ মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ সদর থানা কম্পাউন্ডে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন।

নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জে অসংখ্য নর-নারী পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকার হন। কৃষ্ণপুর ও মাকালকান্দিসহ কয়েকটি স্থানে গণহত্যা চালিয়েছে রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনা। এসব শহীদদের জন্য তেলিয়াপাড়া, ফয়জাবাদ, কৃষ্ণপুর, নালুয়া চা বাগান, বদলপুর, মাখালকান্দিতে বধ্যভূমি নির্মিত হয়।

দিনটি উপলক্ষে হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
 

Link copied!