৬ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামালায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
রোববার (১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইভি আক্তারের আদালতে ওঠোনো হলে তিনি এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে মমতাজ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিন খান এবং সিংগাইর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিন খান বলেন, “হরিরামপুর থানায় দায়ের হওয়া ভাঙচুর মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলা সংশ্লিষ্ট অনেক তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে। সে সব তথ্য আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, “হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা সেই তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করছি।”
এর আগে, ২২ মে সিংগাইর থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় সিংগাইর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্দুন নূর ৪ দিন ও হরিরামপুর থানায় দায়ের হওয়া হামলা ও ভাঙচুর মামলায় আরও ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইভী আক্তার।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সিংগাইরের গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। দীর্ঘ এক দশক পর চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর ওই ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির স্বজন মজনু মোল্লা বাদী হয়ে মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, হরিরামপুর উপজেলায় হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে আরো একটি নাশকতার মামলা রয়েছে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে, যা দায়ের করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।