• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদের স্ত্রী ও সন্তানের মর্যাদা চান নারী


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদের স্ত্রী ও সন্তানের মর্যাদা চান নারী

টাঙ্গাইলের সখীপুর শহর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহেল খান ফাহাদকে নিজের স্বামী বলে দাবি করেছেন এক নারী। শুধু তাই নয়, অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয়ও চান তিনি।

অধিকার আদায়ের জন্য জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই নারী। তার দাবি, প্রেম করে ফাহাদ প্রায় তিন বছর আগে তাকে বিয়ে করেছেন। সম্প্রতি স্ত্রী ও সন্তানের অধিকার আদায়ের জন্য ওই নারী ফাহাদের বাসায় গেলে তাকে মারধর করা হয়। পরে তিনি সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই নারী জানান, প্রায় চার বছর আগে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ওই নারী নার্সের চাকরি করতেন। ফাহাদ ওই সময় তার এক আত্মীয়কে সিজার করাতে ওই ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখান থেকে ফাহাদের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ের তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি তারা আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন। ফাহাদ সরকারি চাকরি নেবে, তাই বিষয়টি কাউকে না জানাতে ওই নারীকে অনুরোধ করেন।

ওই নারী আরও জানান, বিয়ের পর তারা মির্জাপুরের গোড়াই ও হাটুভাঙ্গা এলাকায় খবির উদ্দিন ও আলম সিকদারের বাসায় ভাড়া থাকতেন। ফাহাদ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন। গত দুই মাস আগে তারা খবির উদ্দিনের বাসা থেকে চলে যান। পরে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। বিষয়টি ফাহাদের মাকে অবগত করলে তিনি ওই নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। সন্তান নষ্ট না করায় ফাহাদের মা বিষয়টি মেনে নেননি। এরপর ফাহাদও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

গত শনিবার (২৬ আগস্ট) ফাহাদের বাড়িতে গেলে ওই নারীকে মারধর করেন ফাহাদের মা ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তিনি সখীপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ করে বলেন, “আদালতে বিয়ের সময় ফাহাদ তার পুরো নাম লেখেননি। এছাড়া তার বাবার নাম ভুল দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কাগজটি সংশোধন করলেও তিনি আর আমার কাছে জমা দেননি। আমি সন্তান ও স্ত্রীর অধিকার আদায়ের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। ফাহাদ আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আমি আমার অধিকার চাই।”

হাটুভাঙা এলাকার বাসার মালিক খবির উদ্দিন বলেন, “তারা প্রায় পাঁচ মাস আমার বাসায় ভাড়া ছিলেন। দুই মাস আগে তারা চলে যান। এরপর থেকে আমার সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।”

অভিযুক্ত সোহেল খান ফাহাদ বলেন, “আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে বানোয়াট ও বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।”

ফাহাদ আরও বলেন, “বিয়ের কাগজটি জাল। সেখানে আমার নাম, বাবার নাম ও জন্ম তারিখ কোনোটাই ঠিক নেই। ওই নারীর বিরুদ্ধে একাধিক বিয়েসহ নানা রকমের আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আছে।”

সখীপুরের বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখ মোহাম্মদ লিটন মিয়া বলেন, “ঘটনা সত্য। মেয়েটি খুবই অসহায়। মেয়ে ও তার সন্তানের অধিকার আদায়ের দাবি জানাচ্ছি।”

এ ব্যাপারে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

Link copied!