• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

‘ও নদী তুই আমার বাবারে কেন কাইড়া নিলি’


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৩, ০৪:৫৬ পিএম
‘ও নদী তুই আমার বাবারে কেন কাইড়া নিলি’

‘ও নদী তুই আমার বাবারে কেন কাইড়া নিলি। বাবা কইছিলো, নদীতে যাইতাছি, আমার জন্য দোয়া করিস। এবার বাড়িতে আইলে ঘরের কিছু কাজ করুম। কেমনে জানুম এই যাওয়া বাবার শেষ যাওয়া।’ এভাবেই আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত আব্দুর রহিমের বড় মেয়ে সুরমা বেগম।

রোববার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাবার মরদেহ দেখে এভাবেই আহাজারি করে কাঁদতে থাকেন নিহত আব্দুর রহিমের বড় মেয়ে সুরমা বেগম। এ সময় স্বজনদের কান্নায় আশপাশ ভারি হয়ে উঠে।

সুরমা বেগম বলেন, “বাবার ট্রলারে ২১ জন জেলে ছিলেন। সবাই জীবিত পরিবারের কাছে ফিরলেও বাবা লাশ হয়ে ফিরেছেন। এখন আমাদের কে দেখবে। আমরা বাবাকে হারিয়ে পাঁচ ভাই বোন অসহায় হয়ে পড়েছি। আমরা এখন এতিম হয়ে গেলাম। আল্লাহ আপনি কেন আমাদের এমন পরীক্ষায় ফেললেন।”

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে এমভি ফাতেমা-১ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়ে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক ২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে নিখোঁজ ছিলেন ট্রলারের বাবুর্চি আব্দুর রহমান (৫০)।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে হাতিয়ার এম আলী লাল চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি স্থানীয় জেলেরা অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় উদ্ধার করেন। তখন ট্রলারের কেবিনের ভেতরে আব্দুর রহমানের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।  

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

Link copied!