ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে লোহা দিয়ে অস্ত্র তৈরি ব্যাপারে কামারদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার (৬ মে) দুপুরে স্থানীয় কামারদের সঙ্গে বৈঠক করেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার।
বৈঠকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো লোহার অস্ত্র তৈরি না কামারদের সতর্ক করা হয় এবং যারা দেশীয় অস্ত্র বানাতে আসবেন, তাদের নাম-ঠিকানা রেখে পুলিশকে জানাতে বলা হয়। এতে একমত হন কামারেরা।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় কয়েক হাজার লোক আহত হয় এবং বেশ কয়েকজন নিহত হয়। সম্প্রতি ঈদের দিন ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে ধান মাড়াইয়ের জন্য ব্যবহৃত খাস জায়গা দখল নিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হন। এরপর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে নাসিরনগর থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে শনিবার (৬ মে) ভোর পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে তিনটি মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়া বলেন, “আমাদের গ্রামে প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি হয়। পুলিশ আমাদের কাছে অস্ত্র উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা গ্রামবাসীকে নিয়ে আলোচনা করে সকল দেশীয় অস্ত্র পুলিশের হাতে জমা করে দিয়েছি।”
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, “এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের এসপি স্যারের নির্দেশে আমরা এ অভিযান শুরু করেছি। আমরা যেসকল অস্ত্র উদ্ধার করছি মারামারির সময় সেগুলো ব্যবহারের ফলে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। হাতের কাছে অস্ত্র না থাকলে মারামারির প্রবণতা কমে আসবে। তাই কামারদের দেশীয় অস্ত্র না বানানোর বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :