বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে নিরাপদ এবং অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার জন্মবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সব সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতাই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের খোঁজখবর নিতেন। ৭৫ থেকে দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “পঁচাত্তর থেকে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এ দেশে শুরু হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর সহচর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, যার প্রধান টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইভি রহমানসহ ২৩ জনের জীবন চলে গেল। এই সমুদয় ইতিহাসের পেছনে একটা দল বিএনপি। এই দল দলটি বাংলাদেশে হত্যা, ষড়যন্ত্রের হোতা।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমাদের ইতিহাসের এক অসাধারণ ত্যাগী বিজয় লক্ষ্মী নারী। আজ তার ৯৪তম জন্মদিন। জন্মের আনন্দ যখন বেদনার অশ্রুতে তখন সে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি। যার কোনো প্রকাশ নেই। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা এই যে উত্তরণ বঙ্গবন্ধুর জীবনে সংগ্রাম, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম—এই সমুদয় সংগ্রামে বেগম মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নন, তিনি ছিলেন এক নিবেদিতপ্রাণ সহযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর একেবারে কাছের একজন সহকর্মী। সংকটে সংগ্রামে পেছন থেকে যিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছেন, এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, খাইরুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিিষয়কসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।