• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

যুবদলের মশাল মিছিলের পর গাড়ি ভাঙচুর


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ১২:৩৫ এএম
যুবদলের মশাল মিছিলের পর গাড়ি ভাঙচুর

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হরতাল সমর্থনে জেলা যুবদল মশাল মিছিলের পর তিনটি ট্রাকসহ অন্তত ১০–১৫টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় এতে জড়িত থাকার সন্দেহে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব রাসেল মাহমুদকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটি মুক্তারপুর সড়কের ভোলাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জেলা যুবদলের অর্ধশত কর্মী সড়কের এনআর গার্মেন্টস থেকে বিসিক এলাকা পর্যন্ত মিছিল ও ভাঙচুর চালায়। সড়কে তাঁদের সামনে আসা অন্তত ১০–১৫টি যানবাহনের কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় শাহ সিমেন্টের একটি কাভার্ডভ্যানের চাকায় আগুন দেয় তাঁরা। এ ছাড়া জ্বালানি তেলবাহী একটি ট্রাক ও সড়ক সংস্কার কাজে রাখা এস্কেভেটরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে।

প্রায় ১০ মিনিট ধরে সড়কে তাণ্ডব চালানো হয়। পরে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা–পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আটক করে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব রাসেল মাহমুদকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ফুটপাত ব্যবসায়ী আজিজুল বলেন, ‘৫০ জনের মতো মানুষ রাস্তাঘাটে যত গাড়ি পাইসে সব ভাঙচুর করছে। অটোরিকশা, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান সবগুলার কাচ ভাঙছে। দুই, তিনটা গাড়িতে পেট্রল বোমা মারছিল। কিন্তু ওইগুলা ঠিকমতো আগুন ধরাইতে পারে নাই। নিভায়া ফেলসে গাড়ির লোকজন।’

ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের একজন শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের এস্কেভেটর গাড়ি পুড়ায়া দিতে নিসিল। আমরা নিভায়া ফেলসি। গাড়ির কাছ ভাঙচুর কইরা গেছে গা। যাওয়ার আগে রাস্তায় পেট্রল ঢাইলা আগুন দিয়া গেছে।’

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, রাতে ভোলাইল এলাকায় কয়েকটি ট্রাক–গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপির কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
 

Link copied!