রাঙামাটি জেলা শহরের ভেদভেদী বাজারে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহতের ঘটনায় বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১২টায় রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন রাঙামাটির অভিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মারুফ আহমেদ।
এর আগে, বুধবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে বাসচালক নুরুল আবছারকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ওই বাসের ফিটনেস ছিল কিনা, এ ব্যাপারে বিআরটিয়ের অভিজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া হবে। বাসচালকের কোনো ত্রুটি ছিল কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরও জানান, বাসচালক ঘটনার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকে। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পূর্বকোদালার কবির আহাম্মদের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তার করতে রাঙামাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, সাইবার ক্রাইম সেল ও কোতোয়ালি থানার একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহনেওয়াজ রাজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিনসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশের প্রিজন ভ্যানে থাকা বাসচালক সাংবাদিকদের জানায়, ঘটনার সময় বাসটি ব্রেকফেল করেছিল।
এর আগে, শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের ভেদভেদী বাজার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের (গাড়ি নম্বর: চট্টমেট্রো-জ ১১-০০১৮) ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ আহত হন আরও ৪ জন।
নিহতরা হলেন পরী চাকমা (৪৮) ও গুরিমিলে চাকমা (৫০)। আহতরা হলেন পিন্টু চাকমা (২২), রিপন চাকমা (৪০), রিকন চাকমা (২৬), অন্যজনের নাম জানা যায়নি। হতাহতরা সকলেই রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের যৌথ খামার এলাকার বাসিন্দা।
আহতদের মধ্যে অটোরিকশা চালক পিন্টু চাকমা রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকী তিনজন চিকিৎসা নিচ্ছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
ঘটনার পরদিন রোববার রাতে দুর্ঘটনায় নিহত গুরিমিলে চাকমার (৫০) ছোট ভাই আপন চাকমা (৩৮) বাদী হয়ে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় কেবল বাস চালক নুরুল আবছারকে আসামি করা হয়েছে।
