সড়কে চাঁদাবাজিসহ শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে পাবনা-ঢাকা রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পাবনা জেলা মটর মালিক গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ১০টা থেকে শুরু হয় এই ধর্মঘট। শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ধর্মঘট চলমান রয়েছে।
পাবনা জেলা মটর মালিক গ্রুপের অফিস সচিব আমিনুল ইসলাম বাবলু বলেন, “পাবনা মটর মালিক গ্রুপ, বাস মিনিবাস মালিক সমিতিসহ তিনটি সংগঠনের ডাকে পাবনা-ঢাকা রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। চলমান সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “শাহজাদপুর মহাসড়ক দিয়ে পাবনার সব বাস ঢাকায় যাতায়াত করে। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাস মালিক-শ্রমিকরা পাবনার বাসচালক ও শ্রমিকদের মারধর করেন।”
তিনি আরও বলেন, “পাবনার বাসগুলোকে তাদের আগে যেতে দেয় না। শাহজাদপুরের নবীন বরণ পরিবহনের একটি বাস তাদের ইচ্ছেমত চলাচল করে। কোনো নিয়মশৃঙ্খলার তোয়াক্কা করে না। গত ২৫ জুন দুপুরের দিকে নবীন বরণ বাসটি সমিতির নিয়ম না মেনে স্লো করে। এ সময় পাবনার একটি বাস ওখানে ছিল। পাবনার বাসটি ছাড়ার সময় ছিল। কিন্তু নিয়ম না মেনে আগেই নবীন বরণ পরিবহনটি ছেড়ে দেয়। এসময় পাবনার একজন শ্রমিককে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।”
আমিনুল ইসলাম বাবলু আরও বলেন, “আমাদের এ কর্মসূচি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাস মালিক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। আমরা স্থায়ী সমাধান দাবি করছি। এর আগেও অনেকবার ঝামেলা হয়েছিল। আমরা কয়েকদফা ধর্মঘট দিয়েছিলাম। তখন একটা সমাধান হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে।“
পাবনা মোটর মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাদশা বলেন, “বারবার কথা দেওয়ার পরও শাহজাদপুরের বাস শ্রমিকরা পাবনার গাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। গত ২৫ জুন আমাদের একজন শ্রমিককে মারধর করা হয়। ঘটনায় আমাদের একাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত বাস চালানো সম্ভব নয়। এর আগেও অনেকবার তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় ধর্মঘট হয়েছে। নতুন করে তারা আবারও ঝামেলা সৃষ্টি করছে।”