• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস আজ


গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ০৯:২২ এএম
গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস আজ
প্রতীকী ছবি

আজ ৭ ডিসেম্বর, গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে গাইবান্ধার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। ১৯৭১ সালের এই দিনে কোম্পানি কমান্ডার বীর প্রতীক মাহবুব এলাহী রঞ্জুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কালাসোনার চর থেকে বালাসী ঘাট হয়ে গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করে। বর্তমান স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ ও তৎকালীন এসডিও মাঠ মুক্তিযোদ্ধা-জনতার মিলন মেলায় পরিণত হয়।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বিকেলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মাদারগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর হয়ে গাইবান্ধায় প্রবেশ করে। তারা টিএন্ডটির ওয়্যারলেস দখল করে। পরবর্তীতে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে (বর্তমান শাহ্ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম) ঘাঁটি স্থাপন করে। এই ঘাঁটি থেকেই তারা শহর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ, নারী নির্যাতন চালাতে থাকে। তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে অসংখ্য মানুষ ধরে এনে হত্যা করার পর মাটিতে পুঁতে রাখে। পুঁতে রাখা হয় বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটের পাশেও অসংখ্য লাশ। তাই এই স্থানগুলো পরে বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

এরমধ্যে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামের দক্ষিণ অংশে এবং স্টেডিয়ামের বাইরে অসংখ্য মানুষ হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। প্রতি রাতেই স্টেডিয়ামের পাশে একটি গোডাউনের প্রাচীর ঘেরা এলাকায় দালালদের সহায়তায় অসহায় মানুষদের ধরে এনে পাকিস্তানি সেনারা তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করত। বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের এখানে ধরে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। পার্শ্ববর্তী রেললাইনের ধারেও গর্ত করে পুঁতে রাখা হয় শত শত লাশ।

এদিকে, গাইবান্ধা হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া আয়োজন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Link copied!