• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

এবার প্রেমের টানে জার্মানির তরুণী গোপালগঞ্জে


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৮:১১ পিএম
এবার প্রেমের টানে জার্মানির তরুণী গোপালগঞ্জে

বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেমের টানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসছে তরুণ তরুণীরা। এমনকি বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হচ্ছেন তারা। এবার প্রেমের টানে সূদুর জার্মান থেকে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার এক প্রেমিকের কাছে ছুটে এলেন এক প্রেমিকা।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয় তাদের।

জার্মানির ওই তরুণীর  নাম জেনিফার স্ট্রায়াস।  তিনি জার্মানীর বাইলেফেল্ড স্টেটের বাসিন্দা জোসেফ স্ট্রায়াস ও এসাবেলা স্ট্রয়াস দম্পতির একমাত্র মেয়ে। প্রেমিক বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার জোতকুড়ো গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ও ঝর্ণা বেগম দম্পতির ছেলে চয়ন ইসলাম।

জানা যায়, বাবা প্রবাসী হওয়ার সুবাদে ছয় বছর আগে ইতালি যান চয়ন। কিছুদিন পর সেখান থেকে তিনি চলে যান জার্মানিতে। পাঁচ বছর আগে সেখানে একটি ভাষার কোর্সে ভর্তি হলে সেখানেই তার পরিচয় হয় জেনিফারের সঙ্গে। আর সে পরিচয় থেকেই শুরু হয় তাদের প্রেম। দীর্ঘ চার বছর প্রেমের পর ২০২২ সালের ১০ মার্চ প্রেমিক চয়ন বাংলাদেশে চলে আসেন। কিন্তু তাতে জেনিফার ও চয়নের মধ্যে প্রেমের কোনো ফাটল ধরেনি। ভালোবাসার টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেনিফার ছুঁটে এসেছেন প্রেমিক চয়নের কাছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান প্রেমিকা জেনিফার। সেখানে তার প্রেমিক চয়ন ইসলাম ও তার স্বজনরা তাকে স্বাগত জানান এবং রাতেই তারা জেনিফারকে সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে আসেন। পরে রোববার গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।  

এ দিকে, বাবা জোসেফ ট্রায়াস মেয়ে জেনিফারে সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন।কিছুদিন পর জেনিফার বাবা বাংলাদেশে আসবেন এবং মেয়ের বিয়ে ধুমধাম করে দিবেন বলে জানা গেছে।

চয়ন বলেন, “আসলেই আমি খুব ভাগ্যবান, জেনিফারকে পেয়ে। সে আমার জন্য এই দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমাকে বিয়ে করেছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন সারাজীবন একসঙ্গে কাটাতে পারি।”

জেনিফার বলেন, “বাংলাদেশকে আমি ভালোবাসি। এখানে আসতে পেরে আমি অনেক খুশি। এখানকার পরিবেশ, আতিথিয়েতা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। সবাইকে নিয়ে  মিলেমিশে চলতে পেরে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!