কাতার ও ইরাকের আমেরিকার ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার জবাবে ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে এ হামলা।
কাতারের রাজধানী দোহার আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলার কথা নিশ্চিত করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি। অভিযানের নাম অ্যানাউনসিয়েশন অব ভিক্টরি।
ইরানের হামলার পর দোহায় শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দ। টাইমস অব ইসরায়েল বলেছে, কাতারের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ১০টি আর ইরাকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।
এদিকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে কাতার। সেই সঙ্গে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দাবিও করা হয়েছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরান থেকে স্বল্প ও মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে নিজেদের আকাশসীমা সাময়িক বন্ধ করে কাতার। মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।
এদিকে ইরাকে অবস্থিত তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল–জাজিরা।
একজন সামরিক কর্মকর্তার বরাতে ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইএনএর খবর বলছে, রাজধানী বাগদাদের উত্তরে তাজি সামরিক ঘাঁটিতে অজ্ঞাত ড্রোনের হামলা হয়েছে। তবে সেখানে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বাগদাদ থেকে কুর্দিস্তান ২৪ চ্যানেলের সংবাদদাতা ইরাকে বালাদ সামরিক ঘাঁটিতে হামলার খবর জানান। এই ঘাঁটিতেও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা নেই। বাগদাদ থেকে ১০০ কিলোমিটার (প্রায় ৬২ মাইল) উত্তরে দেশটির সালাহউদ্দিন প্রদেশে এ সামরিক ঘাঁটির অবস্থান।
হামলা হয়েছে ইরাকের ইমাম আলি সামরিক ঘাঁটিতেও। বাগদাদভিত্তিক আল–সুমাইরা টিভি নেটওয়ার্কের খবর, এই সামরিক ঘাঁটির রাডার লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। তবে হামলার পেছনে কে জড়িত, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইরাকের নাসিরিয়াহ প্রদেশের রাজধানীর দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে ইমাম আলি সামরিক ঘাঁটির অবস্থান।
১৩ জুন ইরানের ওপর হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকার ওপর চালানো হয় হামলা। এতে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এ জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও। দুই পক্ষের হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে।