নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে হত্যা করে লাশ চেয়ারে বসিয়ে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যবসায়ীর নাম দুলাল চন্দ্র দাস (৫০)। তিনি উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গীরপাড় এলাকার দাস বাড়ির হরলাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি স্থানীয় ছয়ানী বাজারে ভাইয়ের সঙ্গে ক্রোকারিজ ব্যবসা করতেন এবং টঙ্গীর পাড় কালীমন্দিরসংলগ্ন চিত্তবাবুর দিঘি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন।
শনিবার (১০ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এর আগে শুক্রবার রাত ২টার মধ্যে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গীর পাড় এলাকার চিত্তবাবুর দিঘিতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা বাঁশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুলাল ভাইয়ের সঙ্গে ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি টঙ্গীর পাড় এলাকার কালীমন্দিরসংলগ্ন চিত্তবাবুর (দিঘি) পুকুর দুই বছর আগে লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। লিজ নেওয়া দিঘি তার বাড়িসংলগ্ন হওয়ায় দুলাল প্রতিদিন রাতে দিঘির পাড়ে বসে মাছ পাহারা দিতেন। প্রতিদিনের মতো দুলাল শুক্রবার রাতেও দিঘি মাছ পাহারা দিতে যান। সেখানে দুর্বৃত্তরা মাথা থেকে মুখ ও গলায় ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। এরপর লাশ চেহারা বসিয়ে রেখে চলে যায়। রাত সোয়া ৩টার দিকে একই বাড়ির এক ব্যক্তি মাছ ধরার জন্য ব্যাস জাল নিতে দুলালের কাছে দিঘির পাড়ে যান। তখন তিনি দুলালের নাম ধরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাননি। একপর্যায়ে তিনি দেখতে পান দুলালের রক্তাক্ত লাশ চেয়ারে পড়ে আছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “মাথা থেকে মুখ পর্যন্ত ও গলায় কুপিয়ে জখম করে হত্যা করা হয় দুলালকে। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার রাত ২টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।”
আপনার মতামত লিখুন :