• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সেতু নির্মাণের দেড় মাসেই সংযোগ সড়কে ধস


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম
সেতু নির্মাণের দেড় মাসেই সংযোগ সড়কে ধস

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় সেতু নির্মাণের দেড় মাসের মাথায় দুপাশের সংযোগ সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মাঝগ্রামে চিকনাই নদীর ওপর পুরাতন সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত ‘সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় ৮০ লাখ ২১ হাজার ৭১১ টাকা ব্যয়ে সেখানে সেতু নির্মাণ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশের মাজগ্রাম, রতনপুর, কুবিরদিয়ার, দাঁথিয়া কয়রাপাড়া, বাহাদুরপুর, মথুরাপুর, আনকুটিয়া, অমৃতকুণ্ডাসহ অন্তত দশটি গ্রামের মানুষ এই পথে যাতায়াত করেন। আশপাশে রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, কবরস্থান, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, অমৃতকুণ্ডা হাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

মাঝগ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম দুলু বলেন, “সরকার জনগণের সুবিধার জন্য কাজ করে। কিন্তু ঠিকাদার কীভাবে কাজ করল আমরা বুঝলাম না। ব্রিজ করল কিন্তু সংযোগ সড়কটা ঠিকমতো করল না। দেড় মাসের মধ্যে একটু বৃষ্টিতেই ভেঙে যাচ্ছে। আর একটু বৃষ্টি হলে তো চলাচল করা যাবে না।”

ময়েজ মোল্লা বলেন, “গত ১৭ মে কাজ শেষ করে চলাচল শুরু হয়। কিন্তু জুলাই মাসেই দুই পাশে সংযোগ রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। ইট খুলে নদীতে পড়ে যাচ্ছে। বুঝে ভালোভাবে কাজ করলে এমন হত না।”

গিয়াস উদ্দিন, সাবান আলীসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন বলেন, এদিক দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। অমৃতকুণ্ডা হাটে যায় মানুষ। ব্রিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। কিন্তু ব্রিজ ভালো হলেও সংযোগ সড়কটা ঠিকমতো না করে দায়সারাভাবে কাজ করা হয়েছে। এ জন্য কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে। আবার পুরাতন ব্রিজটা ভাঙার পর রড খুলে নিয়ে গেলেও অন্যান্য অংশ নদীর মধ্যে ফেলে রেখে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান বলেন, “কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি সরে গিয়ে কিছুটা ক্ষতিসাধন হয়েছে। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমি ছুটিতে আছি। ফিরে এসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাফায়েত এন্টারপ্রাইজের মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে সংযোগ সড়কের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অনান্যরা ঘটনা পরিদর্শন করেছেন। বৃষ্টি থামলে একটা ব্যবস্থা করা হবে।”

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল বলেন, “বিষয়টি আমি দেখছি কি করা যায়।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!