দেশকে বিনাশ করতেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ঘাতকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।”
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) আখাউড়ার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “আমরা কোনো প্রতিহিংসার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করব না, বাঙালি ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই কমিশন গঠন করা হবে।”
আনিসুল হক বলেন, “যারা বাংলাদেশকে চায়নি, সেই একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদেরকে আমরা জীবিত পেতাম না। বঙ্গবন্ধু দুই খুনির একজন যুক্তরাষ্ট্রে, একজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে যে, সে দেশে অবস্থানকারী কারও অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণ কার্যকর না করা যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই জানিয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “বিএনপি-জামায়াতে ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছেন। তারা মিথ্যা বলেন। সত্যের কাছ দিয়ে হাঁটেন না। বিএনপি এত মিথ্যাবাদী তারা নিজেরা খুন করে অন্যের ওপর দায় ছাপায়।”
অনুষ্ঠানের পূর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইনমন্ত্রী।
