• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে পরীক্ষা দিতে পারল না পূর্ণিতা


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম
স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে পরীক্ষা দিতে পারল না পূর্ণিতা
পূর্ণিতা বাছার। ছবি : প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি পূর্ণিতা বাছার নামের এক শিক্ষার্থী। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

পূর্ণিতা কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত সন্তোজ বাছার ও মনিকা রাণী বাছারের মেয়ে। সে বিঝারি ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি শিক্ষার্থী ছিল।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্কুল সূত্রে জানা যায়, পূর্ণিতা নিয়ম অনুযায়ী যথা সময়ে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করে ফিও জমা দিয়েছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ভুলক্রমে পূর্ণিতা বাছারের ফরম পূরণ না করে তার বড় বোন পূর্ণিমা বাছারের ফরম পূরণ করে ফেলে। এসএসসি পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে পূর্ণিতা স্কুলে প্রবেশপত্র আনতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বড় বোন পূর্ণিতা বাছারের প্রবেশপত্র দেয় তাকে। পরীক্ষায় অংশ নিতে পরদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার পর কেন্দ্রের সচিব পূর্ণিতাকে অন্যজনের প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার অভিযোগে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।

ভুক্তভোগী পূর্ণিতা বাছার বলে, “আমার বাবা নেই। অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছিলাম। পরীক্ষার ফিও জমা দিয়েছি। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে আমি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। আমার যে ক্ষতি হয়েছে, তার কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। স্যারদের বলার পর তারা বলেছে, আগামী বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে।”

বিষয়টি নিয়ে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক গৌতম দাস বলেন, “পূর্ণিমা ও পূর্ণিতা দুই বোন। তাদের দুই জনের নাম কাছাকাছি হওয়ায় এই ভুলটি হয়েছে। তাছাড়া একেবারে শেষ সময়ে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। যদি দুই দিন সময়ও পেতাম, তাহলে শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে যেভাবে হোক, বিষয়টির সমাধান করতাম। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা মিলে পূর্ণিতার বিষয়টি নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী এক বছর তার পড়াশোনার সকল ব্যয়ভার স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবে, যাতে সে আগামী বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।”

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামসুন নাহার বলেন, “বিষয়টি আমি জানতাম না। প্রবেশপত্রের বিষয়টি সম্পূর্ণ স্কুল কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসের বিষয়। বিষয়টি যদি আগে জানতে পারতাম, তাহলে ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা গ্রহণে চেষ্টা করতে পারতাম।”

Link copied!