• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামল ৯.৬ ডিগ্রিতে


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ০৯:৫৩ এএম
পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামল ৯.৬ ডিগ্রিতে
শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়। ছবি : সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে আবারও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে তাপমাত্রা।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। গত ১৯ ডিসেম্বর রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫, ১৮ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৭, ১৭ ডিসেম্বর ১০ ও ১৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকে হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অধিক হারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।

গ্রামের গৃহিণীরা জানান, সকালে কুয়াশা না থাকলেও প্রচণ্ড ঠান্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরার শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এ সময়টাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে।

এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে হিম সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর-শ্রমিক, চা-শ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। পাথর-শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে।

মহানন্দা ও ডাহুক নদীতে পাথর তোলা ইরফান, আজগর, মোতালেবসহ কয়েকজন পাথর-শ্রমিক জানান, নদীর পানি বরফের মতো ঠান্ডা। কিন্তু কী করব, পাথর তোলা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। এ পাথর তুলেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তাই পেটের তাগিদেই বরফ জলে নেমে পাথর তুলতে হচ্ছে।

চা-শ্রমিক আরশেদ, সাইফুল, জামালসহ কয়েকজন জানান, এখন আগের মতো কুয়াশা নেই। কিন্তু কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই চা-বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসকরা শীতজনিত রোগ থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
 

Link copied!