• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

মেহেরপুরে সহোদর হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড


মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৩, ০৩:১৩ পিএম
মেহেরপুরে সহোদর হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুরের গাংনীতে সহোদর রফিকুল ও আবুজেল হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপুতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কিয়ামতের ছেলে হালিম (৩৫), আছের উদ্দীনের ছেলে আতিয়ার (৪০), নজির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০), মৃত দবীর উদ্দীনের ছেলে শরিফ (৪০) ও ফরিদ (৪৫), আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দীন (৪৩), আফেল উদ্দীনের ছেলে আজিজুল (৩৬), মুনছারের ছেলে মনি (২৫), নজির উদ্দীনের ছেলে দবির উদ্দীন (৩২)। এর মধ্যে জালাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় প্রদানের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় পাঁচ আসামি আরিফ, রাজিব, আলমেস, হারুন ও ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ জুন কাজীপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেনসিডিল জব্দ করে বিজিবি। বিজিবিকে ফেনসিডিল ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রফিকুল ইসলাম ও আবু জেল নামে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে রফিকুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন অভিযুক্তরা। চিৎকারে শুনে আশপাশের লোকজন রফিকুলকে উদ্ধার করে।

পরে ১৫ জুন রাত ১০টার দিকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই ভাইকে ডেকে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ মিলছিল না। পরদিন ভোরে কাজীপুর গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত থেকে দুই ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতদের বোন জরিনা বেগম গাংনী থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দয়ে পুলিশ। মামলায় তিনজন আসামি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন।

Link copied!