• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে মুরাদ সিদ্দিকীর বাধা


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে মুরাদ সিদ্দিকীর বাধা

টাঙ্গাইলে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। এ সময় দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এছাড়া একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল-সিলিমপুর সড়কের দশকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

লতিফ সিদ্দিকী ও মুরাদ সিদ্দিকীর অনুসারীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে লতিফ সিদ্দিকী ১৯টি গাড়ির বহর নিয়ে আটিয়া মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন। বহরটি পাথরাইল-সিলিমপুর সড়কের দশকিয়া এলাকায় পৌঁছালে মুরাদ সিদ্দিকী তাদের বাধা দেন। এছাড়া লতিফ সিদ্দিকীর সমর্থকদের মারধর করেন মুরাদ সিদ্দিকী। এ সময় তাদের দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। এক পর্যায়ে মুরাদ সিদ্দিকীর বহরে থাকা পাঁচটি গাড়ির মধ্যে একটি মাইক্রোবাসের সামনের গ্লাস ভাঙা হয়। পরে মুরাদ সিদ্দিকী অনুসারীদের নিয়ে তার টাঙ্গাইল শহরের বাসায় চলে যান। পরে লতিফ সিদ্দিকী আতিয়া মাজার জিয়ারত করে কালিহাতীর এলেঙ্গাতে চলে যান। 

এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুরাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “আমি, কাদের সিদ্দিকী ভাই ও লতিফ সিদ্দিকী ভাই মাজার জিয়ারত শেষে বাসায় চলে এসেছি। ওখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”

সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়েছেন অক্টোবর মাসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উৎখাত করবে। আমার বিবেক থেকে এটা প্রতিহত করতে হবে। আমি তো সন্ত্রাস কোনো কালেই করি নাই। এটা প্রতিহত করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। সেজন্য কালিহাতীর জোকারচর ও গোহালিয়াবাড়ি এলাকায় এসেছি। কোনো সভা-সমাবেশ না করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে এসেছি।”

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, “নেতাকর্মীদের বলছি, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হও। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ১৪ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন।”

মুরাদ সিদ্দিকীর বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমার ৪-৫ জন কর্মীকে সে মারধর করছে বলে তারা (অনুসারীরা) নালিশ করেছে। মুরাদ সিদ্দিকী বিভিন্ন জনকে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে, সেটি আমি জানি। এলেঙ্গার মেয়রকে সে ভয় দেখাচ্ছে। আমি তাকে কখনো রাজনৈতিক নেতা মনে করি নাই। সে ঠিকাদার ও সন্ত্রাসী। এর বাইরে তাকে নিয়ে আমি কোনো চিন্তা করি নাই। ছাত্র রাজনীতি ও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল আজাদ সিদ্দিকী। আমার জানা মতে মুরাদ সিদ্দিকী কোনো দিন আওয়ামী লীগও করে নাই, ছাত্রলীগও করে নাই। তাই তাকে নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নাই।”

এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, ঘটনাস্থলে তিনি নিজে ছিলেন। হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।

Link copied!